কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে দেখা করেছন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাদের সান্ত্বনা দেন।
রোববার (২৮ জুলাই) সকালে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নিহত আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যসহ ৩৩টি পরিবারের সদস্য প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।
নিহতদের পরিবারের সদস্যরা শেখ হাসিনার কাছে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীও আবেগ সংবরণ করতে ব্যর্থ হন। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের কথা শুনে প্রধানমন্ত্রীর অশ্রু গড়িয়ে পড়ে।
প্রধানমন্ত্রী তাদের সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, ‘আমাকে দেখেন, আমি অনেক কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছি।’
তাদের পাশে আছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা জানান, তাদের মতো স্বজন হারানোর বেদনা তিনিও বহন করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের ব্যথা বুঝতে পারছি। এটা আমার দুর্ভাগ্য যে আমাকে আপনাদের অশ্রু দেখতে হচ্ছে।’ এ সময় গণভবনে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
গত ১৬ জুলাই রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিআরইউ) দ্বাদশ ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ মারা যান।
এর আগে গত ২৬ জুলাই নিহত আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয় বিআরইউআর প্রশাসন। রংপুরের পীরগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দল তার বাবা-মায়ের কাছে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
মন্তব্য করুন