কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৪, ১০:০৪ পিএম
আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৪, ১২:৪১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা ছয় সমন্বয়কের

রোববার রাতে ডিবি অফিসে আলোচনা শেষে এক ভিডিও বার্তায় কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত
রোববার রাতে ডিবি অফিসে আলোচনা শেষে এক ভিডিও বার্তায় কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত

সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।

রোববার (২৮ জুলাই) রাতে ডিবি অফিসে আলোচনা শেষে এক ভিডিও বার্তায় এই ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

লিখিত বার্তায় নাহিদ ইসলাম বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও তার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকে অপ্রত্যাশিতভাবে আহত এবং নিহত হয়েছেন। তাছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ নানান সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের প্রধান দাবি ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার যা ইতোমধ্যে সরকার পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই।

বৈসম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক আরও বলেন, সার্বিক স্বার্থে এই মুহূর্ত থেকে আমরা আমাদের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের ডাক দেয়। এক পর্যায়ে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যোগ দেয়। তাদের সঙ্গে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদেরও দেখা যায়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ‘বাংলা ব্লকেড’ নামের অবরোধও দেয়। এক পর্যায়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীসহ সারা দেশে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকর সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্লাস পরীক্ষা স্থগিত করে হল খালি করার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে সরকার। গত ১৮ জুলাই আন্দোলনকারীরা সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেয়। ব্যাপক ভাঙচুর হয় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৯ জুলাই রাতে কারফিউ জারি করে সরকার। বেসামরিক প্রশানসকে সহায়তায় মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী।

এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, সহিংসতায় কখনো বলা হচ্ছে ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আসলে মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রসহ বিভিন্নভাবে এ তথ্য জানা গেছে।

তিনি বলেন, মৃতদের মধ্যে পুলিশ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন। মৃতের সংখ্যা নির্ণয়ে আরও অনুসন্ধান চলছে। নিহতদের মধ্যে কতজন নারী, কতজন পুরুষ কিংবা কোন পেশার মানুষ কতজন- সেটি নির্ধারণের কার্যক্রমও চলছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আনচেলত্তি সাম্বার ছন্দ ফেরাবেন!

রংপুরে জাতীয় পার্টি ও এনসিপির পাল্টাপাল্টি মামলা

ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

কুল-বিএসজেএ মিডিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন যুগান্তর

জনতার রায়েই ফিরবে বিএনপি : আমান উল্লাহ আমান

৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

বিভিন্ন দলের দাবি / ডিসেম্বরে নির্বাচন না হলে তার ব্যাখ্যা দিন

নতুন টাকায় কোন নোটে কী আছে?

গত সপ্তাহে কোথায় ছিলেন জামায়াত আমির

মাগুরায় বাস-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ শিক্ষার্থী নিহত

১০

ইসরায়েলকে ‘উগ্রবাদী রাষ্ট্র’ বললেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী!

১১

উশু জাজ ট্রেনিং কোর্স সম্পন্ন

১২

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় / চাকরি হারাচ্ছেন ৩৯ চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী

১৩

প্রিমিয়াম মডেলের নতুন সাইড, বাই-সাইড ফ্রিজ উদ্বোধন করল মার্সেল

১৪

জিএম কাদেরকে গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম

১৫

২১ ইসরায়েলি সেনার মৃত্যুর নায়ক সেই ফিলিস্তিনি কমান্ডার নিহত

১৬

উন্নয়নের সবক্ষেত্রে ম্যাজিকের নাম জিয়াউর রহমান : ডা. রফিক

১৭

কোচ হতে চান মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক

১৮

সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের ছত্রছায়ায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সমর্থক

১৯

‘নরেন্দ্র মোদির সরকার জাতিকে বিভ্রান্ত করেছে’

২০
X