কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৮ এএম
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা শ্রদ্ধা জানান। ছবি : সংগৃহীত
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা শ্রদ্ধা জানান। ছবি : সংগৃহীত

মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৫ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি, পরে প্রধান উপদেষ্টা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এর আগে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ ও পথ অনুসরণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ এবং বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারলেই তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।

নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের শেষলগ্নে পুরো দেশের মানুষ যখন চূড়ান্ত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা মেতে ওঠে বুদ্ধিজীবী হত্যাযজ্ঞে। বিজয়ের চূড়ান্ত মুহূর্তে বাঙালিকে মেধাশূন্য করার এ নৃশংস নিধনযজ্ঞ সেদিন গোটা জাতিসহ পুরো বিশ্বকেই হতবিহ্বল করে দিয়েছিল। এর দুই দিনের মাথায় ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করে জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানি বাহিনী। এর মধ্যদিয়ে স্বাধীন দেশ হিসেবে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশের।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে ঘাতক চক্র কেবল ঢাকা শহরেই প্রায় দেড়শ বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন পেশার কৃতী মানুষকে চোখ বেঁধে নিয়ে যায় অজ্ঞাত স্থানে। সান্ধ্য আইনের মধ্যে সেই রাতে তালিকা ধরে ধরে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিল্পী-সাহিত্যিক, সংস্কৃতিসেবী ও পদস্থ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হত্যা করে ফেলে রাখা হয় নিস্তব্ধ ভূতুড়ে অন্ধকারে।

পরদিন সকালে ঢাকার মিরপুরের ডোবা-নালা ও রায়েরবাজার ইটখোলাতে বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায় অনেক নিথর দেহ। কারও শরীর বুলেটবিদ্ধ, কারও অমানুষিক নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত। হাত পেছনে বেঁধে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নাড়িভুঁড়িও বের করে ফেলা হয়েছে অনেকের। স্বাধীনতার ঊষালগ্নে উন্মুখ মানুষ স্বজন হারানোর সেই কালরাত্রির কথা জানতে পেরে শিউরে উঠেছিল। স্থবির হয়ে গিয়েছিল সবকিছু।

হত্যার পূর্বে যে তাদের নির্যাতন করা হয়েছিল, সে তথ্যও বের হয়ে আসে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে প্রকাশিত বুদ্ধিজীবী দিবসের সংকলন, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও আন্তর্জাতিক সংবাদ সাময়িকী নিউজ উইকের সাংবাদিক নিকোলাস টমালিনের রচিত নিবন্ধ থেকে জানা যায় যে, নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা মোট ১ হাজার ৭০ জন।

দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে সরকারিভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছাড়াও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও নানা কর্মসূচি পালন করবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মৃত ব্যক্তি নারী হলে জানাজায় যে দোয়া পড়বেন

রাজধানীতে তীব্র শীতের কারণ জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের শোক

‘বার্সেলোনা’র বিপক্ষে খেলবে মেসিরা, কবে কখন

বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সিইউজের শোক

কাঁদছে খালেদা জিয়ার পৈতৃক ভিটা মজুমদার বাড়ি

গাছের ডালে আটকে ছিল ‘নিখোঁজ’ সুকানীর লাশ

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ঢাকা বারের শোক, এজলাসে ওঠেননি বিচারকরা

বেগম জিয়ার জানাজা পড়াবেন যিনি

খালেদা জিয়াকে হারিয়ে কাঁদলেন বগুড়ার নেতাকর্মীরা

১০

ফিফা বর্ষসেরা অনুষ্ঠানের পরবর্তী আসর দুবাইয়ে

১১

বুধবারের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা স্থগিত

১২

নারীর জানাজা ও দাফন-কাফনের নিয়ম

১৩

ভিশনহীন কর্মী, করপোরেট খাতের নীরব ঝুঁকি

১৪

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে হেফাজতে ইসলামের শোক

১৫

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে চবিতে ক্লাস স্থগিত

১৬

বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে মাভাবিপ্রবির ভাইস চ্যান্সেলরের শোক

১৭

বাঁশ ঝাড়ের নিচ মিলল কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ

১৮

যুবদল নেতাকে হত্যা

১৯

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল

২০
X