ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কেবিন ব্লক ডেডিকেটেড করা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন আহতদের খোঁজ নিয়েছেন বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ছাত্রদের দেখতে তিনি বিএসএমএমইউয়ে আসেন। কেবিন ব্লকে ভর্তি প্রত্যেক রোগীর তিনি খোঁজখবর নেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ, ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এ শাকুর, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. রেজাউর রহমান, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন টিটো, অতিরিক্ত পরিচালক (সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল) ডা. মো. শহিদুল হাসান, উপাচার্যের একান্ত সচিব ডা. মো. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব প্রমুখ।
এর আগে বিএসএমএমইউর অ্যানাটমি বিভাগের কাছে মাহবুব উর রহমান (৭৪) নামে এক ব্যক্তির স্বেচ্ছায় দানকৃত মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম ও এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফারহানা আমিনের নিকট এ মরণোত্তর দেহ হস্তান্তর করা হয়। এসময় অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, মাহবুব উর রাহমানের মরদেহটি বিএসএমএমইউর এনাটমি বিভাগে সংরক্ষণ এবং শিক্ষণ-প্রশিক্ষণ ও গবেষণার কাজে ব্যবহারের অনুমতিপত্রটি এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যানের নিকট প্রদান করা হয়। আর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের উপস্থিতিতে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি এনাটমি বিভাগের মরচুয়ারি, প্ল্যাস্টিনেশনল্যাব, স্কিলল্যাব অ্যান্ড মিউজিয়াম কমপ্লেক্সে সম্পন্ন করা হয়।
উপাচার্য এই ধরনের মহৎ উদ্যোগের প্রশংসা এবং মরণোত্তর দেহ দানকারী শ্রদ্ধেয় মাহবুব উর রাহমানের ছেলে জ্যোতিরময় রহমান ও মেয়ে উজ্জয়ী রহমানসহ পরিবারের সকলকে এই ত্যাগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি দেশের সকল মানুষের প্রতি এরকম মহতী কাজে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন