কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৭ পিএম
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আন্দোলনরত শিক্ষকদের পদযাত্রায় পুলিশের বাধা

শাহবাগ থানার সামনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আটকে দিয়েছে পুলিশ। ছবি : সংগৃহীত
শাহবাগ থানার সামনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আটকে দিয়েছে পুলিশ। ছবি : সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা অভিমুখে আন্দোলরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের পদযাত্রা আটকে দিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় রাজধানীর শাহবাগ থানার সামনে তাদের আটকে দেওয়া হয়।

এর আগে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ শুরু করেন শিক্ষকরা।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশে শিক্ষকরা ‘এক দফা, এক দাবি, শিক্ষকদের ১০ গ্রেড’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, শিক্ষক সমাজ জেগেছে’, ‘আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে ১৩তম গ্রেডের বেসিক বেতন ১১ হাজার টাকা। দশম গ্রেডে তা বেড়ে দাঁড়াবে ১৬ হাজার টাকায়।

এর আগে, দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে রাজধানীর মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করেন সরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকরা। তারা সরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে এ সমাবেশ করেন।

গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর বিকাল তিনটা থেকে এ মানববন্ধন শুরু হয়। মিরপুর থানার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শতাধিক সহকারী শিক্ষক এতে অংশ নেন।

বিকেল ৫টা পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে শিক্ষকদের ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মো. আব্দুল হাকিম বরাবর স্মারকলিপি দেন। এ সময় তিনি দ্রুত গ্রেড বৈষম্য নিরসনের আশ্বাস দেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৫ সালের বেতন স্কেল ও বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে শিক্ষকদের স্বাভাবিক জীবনমান বজায় রাখতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীত করার মাধ্যমে এর কিছুটা সমাধান সম্ভব।

তারা বলেন, সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা বর্তমানে ১৩তম গ্রেডে বেতন পান। অন্যদিকে সব পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একই শিক্ষাগত যোগ্যতায় ১০ম গ্রেডে আছেন। পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একই শিক্ষাক্রমে পাঠদান ও একই পদ্ধতিতে মূল্যায়ন কার্যক্রম করেও আমাদের চেয়ে গ্রেড ব্যবধানে এগিয়ে। আবার এইচএসসি ও ডিপ্লোমা যোগ্যতায় নার্স ১০ম গ্রেড, এসএসসি ও ৪ বছরের ডিপ্লোমা যোগ্যতায় উপসহকারী কৃষি অফিসার ১০ম গ্রেড, বাংলাদেশ পুলিশের এসআইতে স্নাতক যোগ্যতায় ১০ম গ্রেড, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা একই শিক্ষাগত যোগ্যতায় ১০ম গ্রেড পেলেও আমরা বৈষম্যের শিকার।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৬ মাস জলাবদ্ধ, যাতায়াতের ভরসা বাঁশের সাঁকো

শীতে রক্তচাপ নিয়ে সতর্ক থাকা কেন জরুরি জানালেন চিকিৎসক

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

ফরিদপুর বিভাগে শরীয়তপুরকে অন্তর্ভুক্ত না করার দাবিতে পদ্মা সেতু অবরোধ

হজযাত্রীদের জন্য যে চার টিকা বাধ্যতামূলক করল সৌদি

নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও পদ্মার চরে জমজমাট ইলিশের বাজার

রাজশাহী ও বগুড়ায় বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ওয়ানডে সিরিজ

যেসব সাধারণ কারণে পুরুষদের পেলভিক ব্যথা হয়

হাসিনাকে ফেরাতে রেড নোটিশ জারির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে : দুদক চেয়ারম্যান

জামায়াত কর্মী মহিবুর হত্যা মামলায় ১৫ জনের যাবজ্জীবন

১০

অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের সেনা আইনে বিচার দাবি

১১

চুরির অভিযোগে আটকদের আনতে গিয়ে পুলিশের গাড়ির চাবি চুরি

১২

১৮ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক বাছাই না করলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

১৩

আইনের বেড়াজাল পেরিয়ে কারাগারে বিয়ে

১৪

স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার সময় দুর্বৃত্তের হামলা, যুবদল নেতা নিহত

১৫

মোবাইলে ব্রাজিল-জাপান ম্যাচ দেখবেন যেভাবে

১৬

চাকসুর ভোট গণনা হবে যেভাবে

১৭

সড়কে বেপরোয়া অটোরিকশা, অসহায় প্রশাসন

১৮

পুলিশের ধাওয়ায় নদীতে ঝাঁপ, ৩ দিন পর লাশ উদ্ধার

১৯

আগামী নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের মনোনয়ন না দেওয়ার অনুরোধ দুদক চেয়ারম্যানের

২০
X