কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৫, ০৯:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ চিরতরে বাতিলের আহ্বান টিআইবির

ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

কালো টাকা সাদা করার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সব সুযোগ অধ্যাদেশের মাধ্যমে চিরতরে বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

দায়িত্ব গ্রহণের পর অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ১৫ শতাংশ কর প্রদানের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, আরও কয়েকটি দুর্নীতিসহায়ক, অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক বিধান এখন রয়ে গেছে, যা অনতিবিলম্বে বাতিল করে দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য অর্থ উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (২০ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির পক্ষ থেকে বলা হয়, স্বাধীন বাংলাদেশে শুরু থেকেই বিভিন্ন সরকার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে আসছে। স্বাধীন বাংলাদেশে ২১ বার এ সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন সরকারের আমলে বারবার দেওয়া এই অনৈতিক, অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক সুবিধা, যা সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করে, দুর্নীতিকে পুরস্কৃত করে এবং দুর্নীতির বিস্তার ঘটায়। সর্বশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কর্তৃত্ববাদী সরকারের সর্বশেষ বাজেটেও বিনা প্রশ্নে তা বহাল ছিল। তবে, অন্তর্বর্তী সরকার ১৫ শতাংশ কর প্রদানের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল ঘোষণা করেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের এই ঘোষণা বৃহত্তর সংস্কারের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে স্বাগত জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আয়কর আইন ২০২৩-এ অপ্রদর্শিত টাকা বৈধ করার নামে কালো টাকার অর্থাৎ বৈধ আয় বহির্ভূত অর্থের বৈধতা প্রদানের তিনটি বিধান এখনও বিদ্যমান রয়েছে। বিশেষ কর প্রদানের মাধ্যমে বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্টে বিনিয়োগ প্রদর্শন, অপ্রদর্শিত পরিসম্পদ প্রদর্শনে বিশেষ ব্যবস্থা : স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেস এবং ভূমিতে আগে বিনিয়োগ ছিল, কিন্তু তা অপ্রদর্শিত রয়ে গেছে, এমন হলে প্রতি বর্গমিটারে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কর পরিশোধ করে তা রিটার্নে দেখানো যাবে, আয়ের স্বপ্রণোদিত প্রদর্শন : আগে রিটার্ন দাখিল না করলে বা রিটার্ন দাখিল করে থাকলেও কোনো আয় রিটার্নে প্রদর্শন না করলে, ওই অপ্রদর্শিত আয়ের ওপর নিয়মিত হারে কর প্রদান করার পাশাপাশি অতিরিক্ত ১০ শতাংশ জরিমানা দিয়ে তা বৈধ করা যাবে।’ এই বিধানগুলো প্রয়োজনীয় অধ্যাদেশের মাধ্যমে চিরতরে বাতিল করার জন্য আমরা সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই। কারণ, এ তিনটি ক্ষেত্রেই যেহেতু বৈধ সূত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য নিশ্চিতের বাধ্যবাধকতা নেই, সে কারণে অপ্রদর্শিত আয়ের নামে কালো টাকার বৈধতার সুযোগ নেওয়া হয় যা সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে তিন নম্বর সুপারিশেও বৈধ উৎসবিহীন আয়কে বৈধতা দানের যে কোনো রাষ্ট্রীয় চর্চা চিরস্থায়ীভাবে বন্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেটে দৃষ্টান্ত স্থাপনের অংশ হিসেবে প্রয়োজনীয় অধ্যাদেশের মাধ্যমে উল্লিখিত ধারাগুলোসহ কালো টাকা সাদা করার সকব প্রকার সুযোগ চিরতরে বাতিল করা হবে। এ বিষয়ে আমরা অর্থ উপদেষ্টাকে আনুষ্ঠানিক পত্রের মাধ্যমে জানিয়েছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আম পাড়তে গিয়ে যুবদল নেতার মৃত্যু

নদীতে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু

বিএনপি নেতার গুদাম থেকে ১০৪ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার 

৩০ টাকার জন্য বন্ধুকে খুন

বিদেশে শিক্ষার্থীদের কোর্স ফি পাঠানো সহজ হলো

ঈদের আগেই ডাকসু নির্বাচনের তপশিল চান ঢাবি শিক্ষার্থীরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু

আইন নিজের হাতে নেওয়ার চেষ্টা করলে বরদাশত করা হবে না : ডিএমপি

শাবি প্রেসক্লাবের ২০ তম কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠিত

সংস্কার কমিশনে দায়িত্ব পালন করে পারিশ্রমিক নেননি যারা

১০

কখনো মাথা নত করবে না ইরান : মাসুদ পেজেশকিয়ান

১১

ভিসিকে কুয়েট শিক্ষকদের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

১২

পাক সীমান্তে কূটনৈতিক তাপ, মঞ্চে ভারতের ‘রিট্রিট’

১৩

সাম্য হত্যা ও শাওনকে হামলায় জড়িতদের বিচারের দাবি রাবি ছাত্রদলের

১৪

চসিক প্রকৌশলীকে পদোন্নতিতে অনিয়ম, দুদকের অভিযানে মিলল সত্যতা

১৫

হান্নান মাসউদ ‘কান্ডে’ বিব্রত এনসিপি, হচ্ছে তদন্ত 

১৬

রাখাইনে মানবিক করিডোর : কৌশলগত সুযোগ না ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি?

১৭

সিলেটে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

১৮

স্টারলিংকের ইন্টারনেট নিয়ে যেসব তথ্য জানা প্রয়োজন

১৯

অর্থনৈতিক অঞ্চল, কারখানায় সন্ত্রাসী হামলায় জিরো টলারেন্স

২০
X