বাংলাদেশের নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
মঙ্গলবার (০৩ জুন) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে এ খসড়া প্রকাশ করা হয়।
অধ্যাদেশে ব্যক্তিগত তথ্যকে নাগরিকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র এই তথ্যের সুরক্ষা দিতে দায়বদ্ধ। বর্তমান বিশ্বে ব্যক্তিগত তথ্য বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। তবুও এতদিন বাংলাদেশে ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ ও সুনির্দিষ্ট আইন ছিল না। ফলে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অসংখ্যবার তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রতি সম্মান প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছে।
এ প্রেক্ষাপটে অধ্যাদেশটির খসড়া প্রণয়নের সময় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও প্রতিবেশী দেশগুলোর আইন পর্যালোচনা করা হয়। সেইসাথে, একটি ব্যবসাবান্ধব ও তথ্যসুরক্ষামূলক কাঠামো তৈরিতে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক সংগঠন, আন্তর্জাতিক তথ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, মিডিয়া ও সরকারি-বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের মতামত বিবেচনায় নেওয়া হয়।
খসড়াটি একাধিকবার অনলাইনে প্রকাশ করে সাধারণ নাগরিক ও স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে মতামত আহ্বান করা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন পরামর্শমূলক সভার আয়োজনের মাধ্যমে প্রাপ্ত সুপারিশসমূহ যাচাইবাছাই করে প্রয়োজনীয় সংযোজন-বিয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে এই অধ্যাদেশের চূড়ান্ত রূপ প্রণয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা বাংলাদেশের তথ্য নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন