শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৫, ০৬:৪২ পিএম
আপডেট : ০৬ জুন ২০২৫, ০৯:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভয়ভীতি-হুমকির মুখোমুখি হয়েছেন গুম কমিশনের সদস্যরা

সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সভাপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সভাপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত

গুম কমিশনের যেসব সদস্য গুমের অভিযোগের তদন্ত করছেন তারাই দীর্ঘস্থায়ী ভয়ভীতি ও হুমকির মুখোমুখি হয়েছেন। কখনো প্রত্যক্ষ আবার কখনো বা পরোক্ষভাবে (সামনাসামনি, ফোনকলে বা অনলাইন মাধ্যমেও) হুমকি এসেছে। তারা নিয়মিত হয়রানি, কুৎসা রটনা ও নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারণার শিকার হয়েছেন।

গুম কমিশনের প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গুম কমিশনের সদস্যরা তাদের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রতিবেদন জমা দেন বুধবার (৪ জুন)।

শুক্রবার (৬ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গুম কমিশনের প্রতিবেদনের একাংশ প্রকাশ করে।

গুম কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুম কমিশনের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—তারা নাকি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার (যেমন- আইএসআই, র-আরএডব্লিউ, সিআইএ) এজেন্ট, অথবা ধর্মীয় বা রাজনৈতিক উগ্রপন্থি। এমনকি কিছু সাক্ষাৎকারে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তারা কমিশনের সদস্যদের পরিবারের ওপর নজরদারি করছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এসব ভয়ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টাগুলো গুম কমিশনের সদস্যদের কাজের গতি বা দিক পরিবর্তনে কোনো প্রকার প্রভাব ফেলেনি। তারা এসব উসকানিকে তাদের প্রাপ্য গুরুত্বহীনতায় পরিণত করেন এবং নির্যাতিতদের প্রতি ও দায়িত্বের প্রতি পূর্ণাঙ্গ অঙ্গীকার নিয়ে কাজ চালিয়ে যান। অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে কমিশনের সদস্যদের প্রক্রিয়াগত কিছু প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, ভয়ভীতি দেখানোর বাইরে কমিশনকে নিয়মিতভাবে প্রক্রিয়াগত প্রতিবন্ধকতারও মুখোমুখি হতে হয়। উদাহরণস্বরূপ তারা একটি গোপন আটককেন্দ্র পরিদর্শন করেছিল এবং সেখান থেকে আলোকচিত্রসহ প্রমাণ সংগ্রহ করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সংস্থা পরে লিখিতভাবে সেই সাইটটির অস্তিত্ব অস্বীকার করে। পরে আমরা সরাসরি যোগাযোগ করে এবং অকাট্য প্রমাণ উপস্থাপন করার পর, সংস্থাটি তাদের অবস্থান প্রত্যাহার করে এবং সাইটটির অস্তিত্ব স্বীকার করে।

‘সবচেয়ে ধারাবাহিক একটি প্রতিবন্ধকতা ছিল—সরকারি চিঠির যথাসময়ে উত্তর না পাওয়া। অনেক প্রতিষ্ঠান সংবেদনশীল তথ্য লিখিতভাবে দেওয়া থেকে স্পষ্টভাবে বিরত থেকেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে, একটি মৌলিক প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের সপ্তাহ, এমনকি মাসও লেগেছে’- বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গরুর হাটে শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যা করল জামাতা 

জামায়াত নেতার মৃত্যুর ঘটনায় বিএনপির তদন্ত কমিটি 

বন্যায় সিলেটে ম্লান ১৫ হাজার পরিবারের ঈদ আনন্দ

বন কর্মীদের ঈদের ছুটি বাতিল, সুন্দরবনে নিরাপত্তা জোরদার 

রাজধানীতে ঈদের জামাত কখন কোথায়

পবিত্র ঈদুল আজহা আজ

‘নির্বাচনের সময়সীমাকে স্বাগত জানিয়েছে কূটনীতিক ও বিশিষ্টজনেরা’

ঈদের মার্কেটে গিয়ে স্ত্রীর সামনে খুন হলেন স্বামী

বজ্রপাতে নিহতের পরিবারের পাশে পাটুখালী পায়রা যুব সংঘ

ঈদুল আজহা উপলক্ষে সেনাবাহিনী প্রধানের বাণী

১০

নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে পুরো জাতি হতাশ : মির্জা ফখরুল 

১১

নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে জনগণ শঙ্কিত হতে পারে : বিএনপি

১২

প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা, যা বলল ইইউ

১৩

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় অস্বস্তি কাটবে : ইসলামী আন্দোলন

১৪

বিএনপির জরুরি বৈঠক শেষ, যা জানা গেল  

১৫

জরুরি বৈঠকে বিএনপি

১৬

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা আটক

১৭

বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলার দ্বারপ্রান্তে যে সাত দেশ

১৮

উত্তরা এলাকা থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করল সেনাবাহিনী

১৯

ট্রাম্পের সঙ্গে বিচ্ছেদ কেন মাস্কের?

২০
X