ইউটিলিটি স্থানান্তর করতে না পারায় পাতাল মেট্রোরেলের কাজ থেমে আছে। এমআরটি লাইন-১ এর নির্মাণকাজের জন্য মাটির নিচে থাকা বিভিন্ন গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির লাইন স্থানন্তর করতে হচ্ছে। অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে এটি প্রকল্পের পূর্ব শর্তও বটে। এরই মধ্যে বিমানবন্দর, খিলক্ষেত ও টার্মিনাল-৩ স্টেশনের কাজ শেষ হয়েছে। তবে উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা ও আফতাবনগর মেট্রো স্টেশনের স্থানান্তর কাজ গত এপ্রিল থেকে বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) মেট্রোরেল বাস্তবায়নকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি (ডিএমটিসিএল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ডিএমপি (ট্রাফিক) বিকল্প সড়ক তৈরির দাবি করায় এ কাজে অগ্রগতি হয়নি। ফলে একই এলাকায় ওয়াসার পাইপলাইন প্রকল্পও থেমে আছে।
গত ৭ আগস্ট স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, বিকল্প সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। অথচ বীর উত্তম রফিকুল ইসলাম সরণির ছয় লেনের মধ্যে পাঁচ লেন চালু রেখেই কাজ করার পরিকল্পনা ছিল।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দ্রুত ইউটিলিটি স্থানান্তর সম্পন্ন করতে ডিএমপি, সিটি করপোরেশনসহ সব সংস্থার সহযোগিতা জরুরি, নইলে প্রকল্পের মেয়াদ ও খরচ দুটোই বাড়বে।
উল্লেখ্য, সরকার ও জাইকার অর্থায়নে বাস্তবায়িত এ প্রকল্পে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১২টি পাতাল স্টেশনসহ ১৯.৮৭ কিলোমিটার পাতাল লাইন এবং নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ পর্যন্ত ৭টি উড়াল স্টেশনসহ ১১.৩৭ কিলোমিটার লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন