কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
নাগরিক সংলাপে বক্তারা

বিআরটিএর সেবা বেসরকারি খাতে দেওয়া উচিত হবে না 

জাতীয় প্রেস ক্লাবে একক মানবিক উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘বিআরটিএর গ্রাহকসেবা বিষয়ে নাগরিক সংলাপে’ অতিথিরা। ছবি : কালবেলা
জাতীয় প্রেস ক্লাবে একক মানবিক উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘বিআরটিএর গ্রাহকসেবা বিষয়ে নাগরিক সংলাপে’ অতিথিরা। ছবি : কালবেলা

রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক নাগরিক সংলাপে বক্তারা বলেছেন, সড়ক পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) জনবল সংকট নিরসন করে এটির সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে। বিদ্যমান কাঠামো সংস্কার ও অগ্রাধিকার কর্মসূচি নির্ধারণ করে বিআরটিএর গ্রাহকসেবা আরও সন্তোষজনক করা সম্ভব। কিন্তু সংস্থটির কিছু কাজ বেসরকারি খাতে দেওয়ার চিন্তাভাবনা থেকে নীতিনির্ধারকদের সরে আসা উচিত।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে একক মানবিক উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘বিআরটিএর গ্রাহকসেবা বিষয়ে নাগরিক সংলাপে’ বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম বলেন, বিআরটিএর মাধ্যমে সরকার যে পরিমাণ রাজস্ব পায় তার কতটুকু সড়ক খাতে জনস্বার্থে ব্যবহার হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা উচিত। কিছুদিন আগে বলা হয়েছিল, সেবা না বাড়লে সংস্থাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু আমরা বলেছি, সংস্থার দোষ কি? মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলে দেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে না। বিআরটিএর সেবার ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে, তদারকি বাড়াতে হবে ও ব্যবস্থাপনা ঠিক করতে হবে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, বিআরটিএর চেয়ারম্যান বারবার পরিবর্তন করা হয়। দায়িত্ব ঠিকমতো বুঝে নেওয়ার আগে বা দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করা অবস্থায় চেয়ারম্যান পরিবর্তন হওয়ায় সংস্থার ধারাবাহিক কাজ ব্যাহত হয়েছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ বাস ও ট্রাক সড়ক থেকে সরানোর জন্য সংস্থাটি বারবার উদ্যোগ নিলেও কাজ হয়নি। কারণ স্ক্র্যাপ নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়নি। এভাবে নানা ফাঁক থাকায় উদ্যোগ নিয়েও সংস্থা সফল হয়নি।

রোড সেফটি নেটওয়ার্কের সমন্বয়ক পাহাড়ী ভট্টাচার্য বলেন, সড়কে দুর্ঘটনা বেড়েছে। সড়ক নিরাপদ করতে হলে আন্তঃমন্ত্রণালয় ও আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয় বাড়াতে হবে। এই খাতে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছাও জরুরি।

সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক সাংবাদিক নিখিল ভদ্র বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সংস্কার শব্দটি বারবার উচ্চারিত হচ্ছে। বিআরটিএর সেবা বাড়াতে এখানেও সংস্কার শুরু করা দরকার। মাঠ পর্যায়ের সেবাগ্রহীতারা জনবল সংকটের কারণে ও বিভিন্ন কারণে কাঙ্ক্ষিত সেবা দ্রুততম সময়ে পাচ্ছেন না। তাই এখানে সংস্কার দরকার। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জনবল সংকটে ধুঁকছে সংস্থাটি। এ সমস্যাও দূর করতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশে ইন্টার্ন করার সুযোগ

পুয়ের্তো রিকোকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে আর্জেন্টিনার জয়

চীনকে ঠেকাতে অভিনব উদ্যোগ ভারতের

বুধবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৫ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

৩৫ বছর পর আজ চাকসুর ভোট

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে বড় নিয়োগ

রাজস্থানে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, বাসে আগুনে পুড়ে ২০ জনের মৃত্যু

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক স্টাফ কলেজ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

১০

মার্কারের পরিবর্তে চক ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে ডিবিএল সিরামিকস ‘টাইলচক’ 

১১

বিশ্বে শক্তিশালী পাসপোর্টের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান কত?

১২

হোয়াইটওয়াশ লজ্জায় বাংলাদেশ, একশও ছুঁতে পারলেন না মিরাজরা

১৩

হাটহাজারীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

১৪

জাল সনদে ১৮ বছর শিক্ষকতা, জেনেও ব্যবস্থা নেননি অধ্যক্ষ

১৫

ইলিয়াস কাঞ্চনের অসুস্থতায় শাবনূরের আবেগঘন বার্তা

১৬

যুদ্ধের উসকানি দিয়ে শান্তির প্রতীক হওয়া যায় না, ট্রাম্পকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭

বাবার সঙ্গে আলোর শেষ কথা—আমরা আটকে গেছি

১৮

লাইভে এসে সংসদ ভেঙে দিলেন পালিয়ে যাওয়া মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট

১৯

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড : দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের

২০
X