

দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের মাধ্যমে শীতের আগমন ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)। সেই সঙ্গে প্রথম শৈত্যপ্রবাহ ডিসেম্বরে আসার সম্ভাবনা বেশি।
বুধবার (০৫ নভেম্বর) ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানায় বিডব্লিউওটি।
সংস্থাটির তথ্য মতে, লঘুচাপের প্রভাব কেটে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বৃষ্টিপাত কমতে শুরু করেছে। তবে এর প্রভাবে থেকে যাওয়া জলীয়বাষ্পের কারণে আগামী শুক্রবার (০৭ তারিখ) পর্যন্ত দেশের কয়েকটি স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে।
বিডব্লিউওটি আরও জানায়, তবে আগামী শনিবার (৮ নভেম্বর) থেকে প্রায় ২০ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশের আবহাওয়া ভালো থাকতে পারে। যাকে বলে কৃষিকাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উপকারী আবহাওয়া। এ সময় ধান কাটা থেকে শুরু করে শীতকালীন সব শাকসবজি চাষ শুরু করতে পারবেন।
পোস্টে জানানো হয়, নভেম্বরের ২০ তারিখের আগে সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা খুবই কম। তবে নভেম্বরের ২০ তারিখ থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সাগরে আবারও ঘূর্ণিঝড় তৈরির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হতে পারে। তবে ২০ তারিখের আগে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ওয়েভ ইন্টারেকশনের কারণে একটি সার্কুলেশন অথবা লঘুচাপ তৈরি হতে পারে।
বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম জানায়, তাই ২০ নভেম্বরের আগে প্রাকৃতিক বড় কোনো পরিবর্তন না ঘটলে দেশে বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা নেই। তবে ১৭-১৮ তারিখে চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় কিছুটা বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে।
আরও জানায়, এখন পর্যন্ত সব প্যারামিটার বিশ্লেষণ করে বোঝা যাচ্ছে যে নভেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দেশে একটি বৃষ্টিবলয় আসতে পারে। তবে এটা পরিবর্তন হতে পারে। কারণ আবহাওয়া নিয়মিত পরিবর্তনশীল।
পরিশেষে পোস্টে জানানো হয়, নভেম্বরের ১০ তারিখ থেকেই উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের মাধ্যমে দেশে শীতের আগমন ঘটতে পারে। তবে সারা দেশে শীতের আগমন ঘটতে পারে মাসের শেষ দিকে। এ ছাড়া প্রথম শৈত্য প্রবাহ ডিসেম্বরে আসার সম্ভাবনা বেশি।
মন্তব্য করুন