

দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ এ ঘূর্ণিবায়ুর চক্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন শ্রীলঙ্কা উপকূলে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ভোরে নিম্নচাপ এবং বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। সন্ধ্যা নাগাদ এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।’
এদিকে ঝোড়ো হওয়ার শঙ্কায় দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২০৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৯৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৯৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। সে সময় নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ গভীর নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে সমুদ্রবন্দরগুলোকে দুই নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হবে।’
ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘দিতওয়া’। নামটি প্রস্তাব করেছিল ইয়েমেন। সোকোত্রা দ্বীপে এই নামে বিখ্যাত একটি লেগুন রয়েছে।
মন্তব্য করুন