প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের উন্নয়নকাজ বাধাগ্রস্ত হতে পারে, এ কারণে নির্বাচনের সময়ে সরকারের আকার ছোট করা হবে না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথাসময়ে হবে। কে চোখ রাঙাল, কে চোখ বাঁকাল তাতে যায়-আসে না। নির্বাচন হবেই।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগদান উপলক্ষে সম্প্রতি বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে তিন দিনের সরকারি সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, নির্বাচন হবেই। কোনো সহিংসতা করে লাভ হবে না। ২০১৩ সালে পারে নাই, ২০১৮ সালে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরপিও অনুযায়ী যখনই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে এবং নমিনেশন সাবমিট করা হবে, তখন থেকেই মন্ত্রীরা আর কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন না। তখন একজন প্রার্থী হিসেবে তাদের ভোট চাইতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনী প্রচারের সময় কোনো মন্ত্রী তাদের ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবেন না। কোনোরকম সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন না। এটাই নিয়ম। কিন্তু সরকার থেমে থাকবে না। সরকারি দৈনন্দিন যে কাজগুলো সেগুলো কিন্তু করতে হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সরকার ছোট করলে অনেক মন্ত্রণালয়ের কাজ আর হয় না। সেগুলো বাধাগ্রস্ত হয়। সেগুলো যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, উন্নয়নের ধারা যাতে অব্যাহত থাকে আমাদের সেটাই প্রচেষ্টা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি নির্বাচনে একজন প্রার্থী হিসেবে তখন আর গণভবনকে সভার জন্য ব্যবহার করবেন না। ধানমন্ডিতে একটি অফিস নেবেন, যা আগেরবারও নিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন