বৃষ্টি শেষে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখা মিলেছে সূর্যের। দেশের কোথাও নেই শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়া অফিসও বলছে, সূর্যের দেখা পাওয়ায় দিনের তাপমাত্রা বাড়বে কিন্তু রাতের তাপমাত্রা কমে পড়বে কনকনে শীত। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত পড়বে কুয়াশাও। তবে বৃষ্টি যেন পিছু ছাড়ছে না, বর্ধিত পাঁচ দিনে বৃষ্টির প্রবণতা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এমনটা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
কুয়াশার বিষয়ে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী-অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্য জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
তাপমাত্রার বিষয়ে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
তবে বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা দেখছে অধিদপ্তর।
এর আগে গত কয়েকদিন ধরে কোথাও কোথাও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। ফলে কনকনে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যায়। হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। আবার বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়।
একদিকে শীত অন্যদিকে বৃষ্টি বিপাকে ফেলেছে মানুষকে। বিশেষ করে ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন কৃষকরা। বৃষ্টির শঙ্কা কেটে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরলেও কয়েক দিন পর বৃষ্টির প্রবণতা রয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
মন্তব্য করুন