কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৫, ০১:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘গ্রাম বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সরাও’

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। ছবি : কালবেলা
ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। ছবি : কালবেলা

ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সম্ভাব্য রুট পরিবর্তনের দাবিতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে রাজেন্দ্রপুর এলাকায় ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।

রোববার (১০ আগস্ট) সকালে তেঘরিয়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুরে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

‘গ্রাম বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সরাও’ এবং ‘জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও ভিটামাটি রক্ষা করব’ এমন স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। নারী-পুরুষ, শিশু, স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী, বয়োবৃদ্ধসহ হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ ধীরে ধীরে গণসমাবেশে রূপ নেয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এক্সপ্রেসওয়ের প্রস্তাবিত টার্নিং পয়েন্ট স্থাপনের জন্য তেঘরিয়া ইউনিয়নের অন্তত ১০টি গ্রাম নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে শত শত পরিবারের বসতভিটা, মসজিদ-মন্দির, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও খেলার মাঠ বিলুপ্ত হবে।

তারা বলেন, উন্নয়নের বিরুদ্ধে নয়, তবে উন্নয়ন হতে হবে মানবিক ও পরিবেশসম্মত। মাত্র এক কিলোমিটার পূর্বদিকে সরিয়ে নিলে গ্রামের অস্তিত্ব রক্ষা পাবে এবং সরকারের বিপুল অর্থও সাশ্রয় হবে।

সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ব্যক্তিগত প্রকল্প প্রিয় প্রাঙ্গণের উদাহরণ টেনে বক্তারা বলেন, এত বড় ফাঁকা জায়গা থাকতে বসতভিটা উচ্ছেদ করে রুট নেওয়া অমানবিক। মানুষের ঘরবাড়ি রক্ষার সহজ সমাধান থাকা সত্ত্বেও কেন উচ্ছেদ করা হবে?

এলাকাবাসীর দাবি, সরকারের উচিত উন্নয়ন পরিকল্পনায় জনগণের মতামত অন্তর্ভুক্ত করা এবং বিকল্প রুট বিবেচনা করে গ্রাম ও পরিবেশ রক্ষা করা। অন্যথায় তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

বাঘৈর নগরের স্থানীয় বাসিন্দা আল ইমরান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত ১৫ বছরে শুধু তেঘরিয়া ইউনিয়ন থেকেই ১২০০ এর বেশি জমি সরকার নিয়ে নিয়েছে। এখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্রীয় কারাগার, প্রিয় প্রাঙ্গণ, ঝিলমিল আবাসিক, সাউথ টাউন, র‌্যাব-১০, মায়াকানন, আমর্ড পুলিশ প্রতিটি প্রকল্পেই আমরা জমি দিয়েছি। আর কত দেবে তেঘরিয়াবাসী?

ঢাকা জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক জুয়েল মোল্লা বলেন, প্রস্তাবিত নকশা বাস্তবায়িত হলে গ্রামটির শত বছরের ইতিহাস মুছে যাবে, বসবাসের উপযোগিতা শেষ হয়ে যাবে। তেঘরিয়া ইউনিয়ন একটি ঐতিহ্যবাহী জনপদ, যেখানে হাজারো মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িয়ে আছে। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করব—মানুষ নয়, রুট পরিবর্তন করুন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাতসকালে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে অভিভাবকদের মানববন্ধন

খাগড়াছড়িতে নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ, ভোগান্তি চরমে

প্রচণ্ড মাথাব্যথা দূর করতে যা করবেন

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন

রাউটার চালালে মাসে কত টাকা বিদ্যুৎ খরচ হয় জেনে নিন

বন্ধ করা হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬ জলকপাট

হাসপাতাল থেকে আজ বাসায় ফিরবেন জামায়াত আমির

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার মধ্যে ৫ সমঝোতা স্মারক

সময় না থাকলেও পুরুষদের জন্য কেন ব্যায়াম করা জরুরি

নিউটনের সূত্র ভুল দাবি করলেন পঞ্চগড়ের আফসার

১০

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

১১

আজ আন্তর্জাতিক যুব দিবস

১২

১২ আগস্ট : আজকের রাশিফলে কী আছে জেনে নিন

১৩

জেলেনস্কিকে মোদির ফোন, যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা

১৪

কারও শরীরে পা লাগলে হাত ‍দিয়ে ছুঁয়ে সালাম করা কি জায়েজ?

১৫

সাংবাদিক তুহিনের ময়নাতদন্ত : গলা, বুক ও পিঠে ৯টি গভীর আঘাতের চিহ্ন

১৬

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

১৭

ফিলিস্তিনের পক্ষে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বড় সিদ্ধান্ত, সৌদির প্রতিক্রিয়া

১৮

আলাস্কায় হতে পারে ইউক্রেন ভাগাভাগি, দানা বাঁধছে সন্দেহ

১৯

কেমন থাকবে আজ ঢাকার আবহাওয়া

২০
X