রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৫, ০১:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘গ্রাম বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সরাও’

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। ছবি : কালবেলা
ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। ছবি : কালবেলা

ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সম্ভাব্য রুট পরিবর্তনের দাবিতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে রাজেন্দ্রপুর এলাকায় ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।

রোববার (১০ আগস্ট) সকালে তেঘরিয়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুরে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

‘গ্রাম বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সরাও’ এবং ‘জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও ভিটামাটি রক্ষা করব’ এমন স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। নারী-পুরুষ, শিশু, স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী, বয়োবৃদ্ধসহ হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ ধীরে ধীরে গণসমাবেশে রূপ নেয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এক্সপ্রেসওয়ের প্রস্তাবিত টার্নিং পয়েন্ট স্থাপনের জন্য তেঘরিয়া ইউনিয়নের অন্তত ১০টি গ্রাম নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে শত শত পরিবারের বসতভিটা, মসজিদ-মন্দির, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও খেলার মাঠ বিলুপ্ত হবে।

তারা বলেন, উন্নয়নের বিরুদ্ধে নয়, তবে উন্নয়ন হতে হবে মানবিক ও পরিবেশসম্মত। মাত্র এক কিলোমিটার পূর্বদিকে সরিয়ে নিলে গ্রামের অস্তিত্ব রক্ষা পাবে এবং সরকারের বিপুল অর্থও সাশ্রয় হবে।

সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ব্যক্তিগত প্রকল্প প্রিয় প্রাঙ্গণের উদাহরণ টেনে বক্তারা বলেন, এত বড় ফাঁকা জায়গা থাকতে বসতভিটা উচ্ছেদ করে রুট নেওয়া অমানবিক। মানুষের ঘরবাড়ি রক্ষার সহজ সমাধান থাকা সত্ত্বেও কেন উচ্ছেদ করা হবে?

এলাকাবাসীর দাবি, সরকারের উচিত উন্নয়ন পরিকল্পনায় জনগণের মতামত অন্তর্ভুক্ত করা এবং বিকল্প রুট বিবেচনা করে গ্রাম ও পরিবেশ রক্ষা করা। অন্যথায় তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

বাঘৈর নগরের স্থানীয় বাসিন্দা আল ইমরান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত ১৫ বছরে শুধু তেঘরিয়া ইউনিয়ন থেকেই ১২০০ এর বেশি জমি সরকার নিয়ে নিয়েছে। এখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্রীয় কারাগার, প্রিয় প্রাঙ্গণ, ঝিলমিল আবাসিক, সাউথ টাউন, র‌্যাব-১০, মায়াকানন, আমর্ড পুলিশ প্রতিটি প্রকল্পেই আমরা জমি দিয়েছি। আর কত দেবে তেঘরিয়াবাসী?

ঢাকা জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক জুয়েল মোল্লা বলেন, প্রস্তাবিত নকশা বাস্তবায়িত হলে গ্রামটির শত বছরের ইতিহাস মুছে যাবে, বসবাসের উপযোগিতা শেষ হয়ে যাবে। তেঘরিয়া ইউনিয়ন একটি ঐতিহ্যবাহী জনপদ, যেখানে হাজারো মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িয়ে আছে। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করব—মানুষ নয়, রুট পরিবর্তন করুন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তারেক রহমানকে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার শহিদুলের নিঃশর্ত মুক্তি চাইল বিএনপি

তাইওয়ানে ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ, রোববার থেকে কার্যকর

বিএনপির পক্ষে কাজ করার ঘোষণা গণঅধিকার পরিষদের এমপি প্রার্থীর

পদত্যাগপত্র জমা দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান

যে দিনটিকে অবিস্মরণীয় বললেন তারেক রহমান

জাকির মৃত্যুতে স্তব্ধ ক্রিকেটাঙ্গন

রানার হ্যাটট্রিকও থামাতে পারল না সিলেটকে, শেষ বলে রুদ্ধশ্বাস জয়

এক উপজেলা বিএনপির সব কমিটির কার্যক্রম স্থগিত

ত্রিশাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুজিব, সম্পাদক নোমান

১০

শ্বশুরবাড়িতে ‘প্রাণিপ্রেমী তারেক রহমান’

১১

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

১২

চেরকির ঝলকে নটিংহ্যাম ফরেস্টকে হারিয়ে শীর্ষে ম্যান সিটি

১৩

‘উৎসবমুখর নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও পেশি শক্তির নিয়ন্ত্রণ জরুরি’

১৪

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে কারফিউ জারি

১৫

জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির জোট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানালেন সামান্তা শারমিন

১৬

ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপল সোমালিয়া, সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি

১৭

জনতা গ্রুপ-কুয়েত প্রেস ক্লাবের শুভেচ্ছা বিনিময় সভা

১৮

লক্ষ্মীপুর-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী আবুল খায়েরকে নিয়ে ‘নির্বাচনী ভাবনা’ 

১৯

২ ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

২০
X