কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ মে ২০২৪, ০৫:২৭ পিএম
আপডেট : ০২ মে ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এক কোটি গরিব মানুষকে ব্যাংকের মালিক বানিয়েছি : ড. ইউনূস

আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সামনে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত
আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সামনে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমি এক কোটি গরিব মানুষকে একটা ব্যাংকের মালিক বানিয়েছি। তাদের মালিকানা দিয়েছি, এমনটা তো আর কেউ করেনি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ জামিন শুনানি শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে দুর্নীতির। আমি জালিয়াতি করেছি, অর্থ আত্মসাৎ করেছি, অর্থ পাচার করেছি—এ রকম বহু ভয়াবহ শব্দ আমার অপরাধ হিসেবে বলা হয়েছে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আমাকে বহুদিন থেকে চিনেন। যে অপরাধগুলো আমার গায়ে লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তা আমার সঙ্গে যায় কি না। আপনারাই বিবেচনা করবেন।

আমাকে বলা হয়েছে, আমি সুদখোর। আপনারা সেটা গ্রহণ করেন নাই। কারণ গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক আমি না। সুদ যদি গ্রহণ করে থাকে, সেই গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকরাই গ্রহণ করেছে, যোগ করেন তিনি।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক থেকে আমাকে যখন বের করে দেওয়া হয়, তখন গ্রামীণ ব্যাংকের ৯৭ শতাংশ মালিকানা আমাদের সদস্যদের কাছে ছিল। সুদ যদি গ্রহণ করে থাকেন, তারাই গ্রহণ করেছেন। আমি একজন কর্মচারী মাত্র, সেটা আপনারা জানতেন।

তিনি আরও বলেন, বলেছে, আমি পদ্মা সেতু বানচাল করে দিয়েছি, বিশ্বব্যাংকের টাকা বন্ধ করে দিয়েছি; আমাকে পদ্মা নদীতে চুবানো দরকার—বহুবার বলা হয়েছে। বড় বড় অনুষ্ঠানে বলা হয়েছে।

এর আগে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় জামিন পান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।

এদিন সকালে ড. ইউনূস পূর্বশর্তে জামিন আবেদন করেন। এরপর এ মামলায় হাজিরা দিতে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আদালতে পৌঁছান তিনি।

গত ১ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে গত ২ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলি করেন।

গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। সংস্থার উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইতালিতে বাড়ছে বাংলাদেশি উদ্যোক্তা

ফের পেছাল কঙ্গনার ‘ইমার্জেন্সি’

৫২৩ হজযাত্রীর টাকা নিয়ে ২ এজেন্সি মালিক উধাও 

কুমিল্লায় বাণিজ্যিকভাবে আনারস চাষে সফলতা

অসহায় ও পথশিশুদের মুখে হাসি ফুটাল চবির তরুণ দুই উদ্যোক্তা

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ / ২ বছর পর ফ্রান্স দলে কান্তে

তীব্র গরমে ঢাকার বাতাসের কী খবর?

কুড়িগ্রামে ব্রিজ ভেঙে দুর্ভোগে এলাকাবাসী

ভয়ংকর রাসেল ভাইপারকে পিটিয়ে মারলেন কৃষকরা

বিসিবির আপত্তি, ‘পাত্তা’ দিল না আইসিসি

১০

গাজীপুরে প্লাস্টিকের গোডাউনে আগুন

১১

যুগান্তকারী আবিষ্কার গুগল অ্যাস্ট্রা কী?

১২

চিন্তা নেই, হারানো জিনিস খুঁজে পাবেন নিমিষেই

১৩

সুপারি গাছের খোলে তৈরি হচ্ছে নান্দনিক তৈজসপত্র

১৪

গরমে তরমুজের চাহিদা বেড়েছে দ্বিগুণ

১৫

আজ আ.লীগের কর্মসূচিতে যা থাকছে

১৬

বিশ্বকাপে মোস্তাফিজকে শুভকামনায় কী বলছে চেন্নাই

১৭

পশ্চিমবঙ্গে বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

১৮

চেয়ারম্যানের নাম্বার ক্লোন করে টাকা দাবি

১৯

আজ সুখবর পেতে পারেন যারা

২০
X