বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী বলেছেন, দুর্যোগপ্রবণ এলাকার অনেকেরই ঘরে টেলিভিশন, রেডিও, স্মার্ট ফোন নেই। প্রতিটি দুর্যোগে আমাদের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা ঘরে ঘরে সংবাদ পৌঁছে দিয়ে আর্তমানবতার সেবায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এভাবেই ৭ লাখ স্বেচ্ছাসেবক ৪ বার শান্তিতে নোবেল বিজয়ী সংগঠনটির মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখতে আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস।
বুধবার (০৮) বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তরে জাতীয় পতাকা ও রেড ক্রিসেন্ট পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
বাঁচিয়ে রাখি মানবতা প্রতিপাদ্যে বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনে সারাদেশে একযোগে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড সেন্ট দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। যুদ্ধহীন মানবিক পৃথিবী প্রতিষ্ঠায় বিশ্বব্যাপী রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের ৭টি মূলনীতি ও মানবসেবামূলক কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ বছর দিবসটি পালন হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান চৌধুরী হেলাল, বোর্ড সদস্য মুন্সী কামরুজ্জামান কাজল, অ্যাড. সোহানা তাহমিনা, রাজিয়া সুলতানা লুনা, মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম, উপমহাসচিব সুলতান আহমেদ।
বিশেষ এই দিবস উপলক্ষে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে শেষ হয়। সোসাইটির যুব স্বেচ্ছাসেবক ও সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এতে অংশ নেয়।
দিবস উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ফুল ও খাবার বিতরণ করা হয় রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের রোগীদের মাঝে। জাতীয় সদর দপ্তরের পাশাপাশি সারাদেশে রেড ক্রিসেন্টের ৬৮টি ইউনিট তাদের নিজ নিজ আয়োজনে উদযাপন করেছে দিবসটি।
মন্তব্য করুন