ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
শ্রদ্ধাঞ্জ‌লি

‘নিশঙ্ক প‌থিক’ একু‌শে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক রণেশ মৈত্র 

একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক রণেশ মৈত্র। ছবি : সংগৃহীত
একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক রণেশ মৈত্র। ছবি : সংগৃহীত

‘...শব্দহীন হও, শষ্পমূলে ঘিরে রাখো আদরের সম্পূর্ণ মর্মর’- কথাগুলো কবি শঙ্খ ঘোষের। কাকতালীয়ভাবে কবি শঙ্খ ঘোষ এবং রণেশ মৈত্র দুজনের স্মৃতিতে জড়িয়ে আছেন পাবনার পাকশীর চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠের। রণেশ মৈত্র ছিলেন পাকশী চন্দ্র প্রভা বিদ্যাপীঠের ইংরেজির শিক্ষক, কবি শঙ্খ ঘোষ ছিলেন এই স্কুলের ছাত্র। তবে শিক্ষকতার পরিচয় ছাপিয়ে যায় সাংবাদিক হিসেবে এবং রাজনৈতিক নেতা হিসেবে। সাংবাদিক হিসেবে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, একুশে পদক। স্বাধীনতা-ও প্রগতির ধারক বাহক রণেশ মৈত্র ছি‌লেন চিন্তা-চেতনায় একরোখা প্রতিবাদী কলমসৈনিক। একবার তা‌কে জি‌জ্ঞেস ক‌রে‌ছিলাম কেমন বাংলা‌দেশ আপ‌নি দেখ‌তে চান? হাস‌তে হাস‌তে উত্তর দি‌য়ে‌ছি‌লেন- ‘এক সূর্যক‌রোজ্জ্বল শোষণমুক্ত, নির্যাতনমুক্ত, সাম্প্রদা‌য়িতা, বেকারত্ব ও নারীর প্রতি বৈষম্যমুক্ত, সু‌শিক্ষায় শি‌ক্ষিত এক‌টি উন্নত আধু‌নিক বাংলা‌দেশ ।’ ‘নিশঙ্ক পথিক’ হিসেবে লেখালেখি জগতে যেমন পরিচিত ছিলেন, তেমন আবার পাবনার সাংস্কৃতিক মণ্ডলের অভিভাবকও ছিলেন।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মিছিল দিয়েই রণেশ মৈত্রের রাজনীতির শুরু। যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, স্বাধীকার থেকে স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন প্রতিটিতেই সক্রিয় রাজনীতিবিদ হিসেবে অংশ নিয়েছেন। পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্য বহুবার কারাবরণ করতে হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মু‌জিবুর রহমা‌নের স‌ঙ্গে অন্য এক রকম ব্যতিক্রম সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল পাবনার রণেশ মৈত্রের। ঘনিষ্ঠতা এতটাই ছিল, বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘ কারাগারের রোজনামচা’য় রণেশ মৈত্রের নাম এসেছে ১০ বারের মতো। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে প্রথম পরিচয় ঘটে ১৯৫৩ সালে পাবনায় আবদুর রব বগা মিয়ার বাড়িতে। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পাবনা যতবারই সফরে এসেছেন এবং প্রায় ততবারই তার সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে, কথাবার্তা হয়েছে, দেশের রাজনৈতিক করণীয় প্রভৃতি বিষয় নিয়ে।

১৯৬২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উত্তরবঙ্গ সফরে এলে সাংবাদিক রণেশ মৈত্র ‘সংবাদ’-এর পক্ষ থেকে তাদের ট্যুর কভার করেন। রণেশ মৈত্র তার স্মৃতিকথায় উল্লেখ করেছেন, সারাপথ ট্রেনে। সংবাদ পত্রিকায় আমার রিপোর্টিং দেখে মুজিব ভাই তো বেজায় খুশি। তিনি যাত্রাপথে সাংবাদিকদের খোঁজখবর নিতে তাদের কামরায় ছুটে আসতেন, কোনো সমস্যা আছে কিনা জানতে চাইতেন। হাতে করে আনতেন সংবাদ ও ইত্তেফাক। ইত্তেফাকের বিশেষ সংবাদদাতার সামনেই বলতেন, সংবাদের রিপোর্টটিই হচ্ছে বেস্ট।

রণেশ মৈত্রের সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হৃদত্যাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে ১৯৬৬ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। রণেশ মৈত্র রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এলেন ল’ পরীক্ষা দিতে। ২০ নম্বর সেলে উঠলেন এবং ওই দিনই বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ ঘটে। যেমনটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারের রোজনামচায় লিখেছেন, পাশের ২০ সেলে পাবনার সাংবাদিক রণেশ মৈত্র থাকেন। ল’ পরীক্ষা দিতে এসেছেন পাবনা থেকে এখানে, আজ শেষ পরীক্ষা হয়ে গেছে। জিজ্ঞাসা করলাম, কেমন পরীক্ষা? দিলেন বললেন, মন্দ হয় নাই। আমার সামনে দিয়েই তার যেতে হয়, যেখানে থাকেন সেইখানে। রণেশ বাবু যে কোনো দিন পাবনা চলে যাবেন। (কারাগারের রোজনামচা, পৃ.১১৮)

কারাগারের রোজনামচা থেকেই বোঝা যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে অনেক হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনার বাইরে পারিবারিক কথাবার্তাও উঠে এসেছিল দুজনের মধ্যে। এমনকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রণেশ মৈত্রের পারিবারিক খোঁজখবরও নিয়েছেন। কারাগারের রোজনামচা থেকে জানা যায়- আজ পাবনার রণেশ মৈত্রের সাথে আমার হঠাৎ দেখা হলো। ল’ পরীক্ষা দিতে পাবনা থেকে আনা হয়েছিল। দুই একদিনের মধ্যে চলে যাবেন এখান থেকে। বললাম, আপনার ছেলেমেয়ের কি খবর? বললেন, কি আর খবর, না খেয়েই বোধ হয় মারা যাবে। স্ত্রী ম্যাট্রিক পাস। কাজ কর্ম কিছু একটা পেলে বাঁচতে পারতো; কিন্তু উপায় কি! একে তো হিন্দু হয়ে জন্মগ্রহণ করেছি, তারপর রাজবন্দি, কাজ কেউই দিবে না। একটা বাচ্চা আছে। বন্ধু-বান্ধব সাহায্য করে। কিছু কিছু, তাতেই চালাইয়া নিতে হয়। গ্রামের বাড়িতে থাকার উপায় নাই। মৈত্র কথাগুলো হাসতে হাসতে বললেন। মনে হলো তার মুখ দেখে এ হাসি বড় দুঃখের হাসি। ( কারাগারের রোজনামচা, পৃ. ১৯০)

কারাগারের মধ্যেও বঙ্গবন্ধু আন্তরিক পরিবেশে রণেশ মৈত্রকে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। সেই সময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে আমাদের আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ছিলেন। রণেশ মৈত্র লিখেছেন, অতঃপর কোনো একদিনের (তারিখটা মনে নেই) বিকেলে সেলে বসে আছি। হঠাৎ হেড ওয়ার্ডার শিপ নিয়ে এসে হাজির। তাড়াতাড়ি অফিসে যেতে হবে— ইন্টারভিউ আছে এই খবর নিয়ে। ইন্টারভিউ এর খবর পেয়ে অবাক হলাম। আমিতো কারও ইন্টারভিউ চেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো আবেদন জানাইনি। তবু কাপড়-চোপড় পরে রেডি হয়ে গেলাম রাজবন্দিদের জন্য নির্দিষ্ট লম্বা ইন্টারভিউ রুমে। হাতে ডিটেনশন অর্ডারটা। ঢুকতেই দেখি মুজিব ভাই বসা। সামনে বসে আছেন এক বয়স্ক মহিলার সাথে এক কিশোরী কন্যা। তাদের কাউকে চিনতাম না। আর অপর প্রান্তে বসে আছেন আমার বাল্যবন্ধু ব্যারিস্টার আমির-উল-ইসলাম। তিনিই এসেছেন নিজ উদ্যোগে আমার সাথে দেখা করতে। ওদিকে রওনা হতেই মুজিব ভাই থামিয়ে দিয়ে আমাকে বললেন, একটু দাঁড়ান। আপনার সাথে পরিচয় করিয়ে দিই। মহিলার দিকে তাকিয়ে বললেন, ইনি আপনার ভাবি আর কিশোরীটিকে দেখিয়ে বললেন, এটি আমাদের মেয়ে হাসিনা। ভাবিকে বললেন, ইনি পাবনার রণেশ মৈত্র। ন্যাপ করেন। আমাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। আমি ভাবিকে সালাম জানালাম। মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললেন, হাসিনা কলেজে পড়ে। মেয়েকে বললেন, তোমার চাচা, সালাম করো। মেয়েটি এগিয়ে আসতেই আমি সরে গিয়ে বললাম, আমাকে সালাম জানাতে হবে না। তুমি অনেক বড় নেতার মেয়ে। ভবিষ্যতে তুমিও অনেক বড় হবে- এই কামনা করি। (রণেশ মৈত্র, আত্মজীবনী, পৃ. ১৬৫)

পাবনার রণেশ মৈত্র ছিলেন একজন আপাদমস্তক কমিউনিস্ট। কিন্তু তারপরেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রাণ উজার করে ভালোবেসেছেন সোভিয়েতপন্থি মৈত্র বাবুকে। কীভাবে রণেশ মৈত্রকে কারাগার থেকে মুক্ত করা যায়, তার করণীয় নিয়েও বঙ্গবন্ধুকে উদ্বিগ্ন হতে দেখা যায়। রণেশ মৈত্রকে ব্যারিস্টার আমির-উল-ইসলামের সাথে জেলখানার মধ্যে দেখা করার সময়ে বঙ্গবন্ধু এ বিষয়ে সুপারিশ করেন। রণেশ মৈত্রের স্মৃতিচারনায়ও তা স্পষ্ট। মুজিব ভাই আমির-উল ইসলামকে বললেন, শোন আমিরুল, টাকা যা লাগে আমি দেব, তুমি রিটটা ভালো করে করবে। দরকার মনে করলে বড় কোনো সিনিয়র আইনজীবীকেও সঙ্গে নিও। ওনার দ্রুত মুক্তি পাওয়া খুবই প্রয়োজন।

বঙ্গবন্ধুর সাথে রণেশ মৈত্রের শেষ দেখা হয়েছিল পাবনাতে ১৯৭২ সালে। স্বাধীন বাংলাদেশ, নতুন পরিবেশে। সেদিনের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে রণেশ মৈত্র বলেছেন, অতঃপর ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ হলো। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি কারাগার থেকে তা প্রত্যক্ষ করলেন। ১৯৭২-এর ১০ জানুয়ারি বিজয়ীর বেশে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর সম্ভবত ফেব্রুয়ারি মাসের কোনো একদিনে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি পাবনা সফরে এলেন। পাবনাবাসীর পক্ষ থেকে তাকে হেলিকপ্টারে থেকে নামার পর প্রায় হাজারখানেক অভ্যর্থনাকারীর অন্যতম হিসেবে পাবনা স্টেডিয়ামে আমিও লাইনে দাঁড়িয়ে, তবে একটু পেছনের দিকে তৃতীয় সারিতে। বঙ্গবন্ধু রুশ প্রদত্ত হেলিকপ্টার থেকে নেমে পুলিশের আনুষ্ঠানিকতা শেষে অভ্যর্থনাকারীদের প্রথম সারি থেকে করমর্দন করতে লাগলেন। হঠাৎ আমার ওপর চোখ পড়তেই লাইন ও কর্ডন ভেঙে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরলেন। দীর্ঘ আলিঙ্গন শেষে বললেন, কী, বলেছিলাম না দেশ স্বাধীন করে ছাড়ব? উত্তরে আমিও বললাম, আপনার মার্কিনি কেবলার সহযোগিতায় বিজয় অর্জিত হয়নি, হয়েছে আমার কেবলা সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের সহযোগিতায়। হেসে বললেন, কথাটি পাঁচ বছর আগে ঢাকা জেলে হয়েছিল। আজও মনে আছে দেখছি। বললাম, ভুলেই গিয়েছিলাম, আপনিই এতদিন পরে তা মনে করিয়ে দিলেন। (ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, পাবনায় বঙ্গবন্ধু, পৃ. ১৩২)

বীর মুক্তিযোদ্ধা, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক রণেশ মৈত্রের জন্ম ১৯৩৩ সালের ৪ অক্টোবর পৈতৃক নিবাস পাবনা জেলার সাঁথিয়া থানার ভুলবাড়িয়া গ্রামে। এক দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের পথ পাড়ি দিয়ে ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পরলোক গমন করেন দেশপ্রেমিক খ্যাতিমান এই সাংবাদিক। আজ তার জন্মদিনে রইল আমাদের অপরিসীম শ্রদ্ধা।

( ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।)

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি 

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা কারাগারে অপ-চিকিৎসার ফল : মির্জা আব্বাস

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিজিএমইএ’র উদ্যোগে দোয়া

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নারায়ণগঞ্জে মাসুদুজ্জামানের উদ্যোগে দোয়া 

১৩ জনকে বাঁচিয়ে পানিতে তলিয়ে গেলেন হাসান, শেষ ফোনকলে ছিল মাকে দেখার ইচ্ছা

খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় দোয়া চাইলেন ইশরাক

‘মা-ভাই-বোনকে প্লট দিতে খালা হাসিনাকে চাপ দেন টিউলিপ’

প্লট দুর্নীতি / শেখ হাসিনার সঙ্গে এবার রেহানা-টিউলিপের রায় সোমবার

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন সোমবার

১০

বিএমইউ ‘ছাত্র কল্যাণ পরিষদ’-এর উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল

১১

জাতির ক্রান্তিলগ্নে খালেদা জিয়ার সুস্থতা অনেক বেশি জরুরি : ব্যারিস্টার অসীম

১২

ঢাকা উত্তরের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের টিম গঠন

১৩

মশক নিধনে ৫৬ স্প্রেম্যানকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিল চসিক

১৪

চট্টগ্রামে মাস্টার ইন্সট্রাক্টর প্রশিক্ষণ, সড়ক নিরাপত্তায় নতুন উদ্যোগ

১৫

জামায়াত বরাবরই বিএনপির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে : কাজী আলাউদ্দিন

১৬

ব্রাকসু নির্বাচন / প্রথম দিনে ৭ জনের মনোনয়ন সংগ্রহ, ছাত্রী হলে নেননি কেউ

১৭

বগুড়ায় হাসিনাসহ ২৯৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

১৮

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সম্মানি ভাতা দেবে : মাসুদ সাঈদী

১৯

৫০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিতে পারবেন প্রধান বিচারপতি

২০
X