আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের অকারণে হয়রানি ও আটক না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (০২ আগস্ট) দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সেতুমন্ত্রী।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অকারণে হয়রানি ও আটক না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থীকে যেন হয়রানি করা না হয় সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। আটকদের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কাজ করছে। শিক্ষার্থীদের মূল দাবি আদায় হওয়ায় আশা করি তারা এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার স্বার্থে ঘরে ফিরে যাবে।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচারবিভাগীয় তদন্তে তাদের আওতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন কমিশনে ৩ জন বিচারপতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। অনেকের পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়ে চিকিৎসার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নাগরিক সমাজের অনেকেই ব্যক্তিগত মতামত দিয়েছেন। আমরা তাদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু একটি রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে তাদের মতামতকে কাজে লাগিয়ে তৃতীয় মহল যেন (সুযোগ) ব্যবহার না করতে পারে সে জন্য সবার সচেতন থাকা সমীচীন।
এ সময় জামায়াত-শিবিরকে চিহ্নিত সন্ত্রাসী সংগঠন উল্লেখ করে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সরকারকে ধন্যবাদ জানান সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, জামায়াত নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি গণদাবি ছিল। সেটা পূরণ করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন