বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের (বিএসপিপি) আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, আমরা জনগণের মালিকানা জনগণকে ফিরিয়ে দিতে চাই। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার গঠন করার মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার ফেরত দিতে চাই।
তিনি বলেন, ১৭ বছর আন্দোলনের ফলে জনগণের বিজয় অর্জিত হয়েছে গত ৫ আগস্ট। জনগণের বিজয়ের মাধ্যমে শিশু ও গণহত্যাকারীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। দেশ থেকে স্বৈরাচার বিদায় হয়েছে। এখন আমাদের দেশকে গড়তে হবে। আমরা জনগণের মালিকানা জনগণকে ফিরিয়ে দিতে চাই।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএসপিপি আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব বলেন।
বিএসপিপির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ড. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আশরাফ উদ্দিন উজ্জল, ড. শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম, ড. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. জাফর আহমদ, ড. মামুন, শিক্ষক নেতা জাকির হোসেন, সেলিম মিয়া, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিকুল ইসলাম, জাহানারা বেগম, ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান চুন্নু, ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার মোসলেম উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, ইঞ্জিনের রুহুল আমিন আকন্দ, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি দেশ ও দেশের মানুষের সামনে রাজনীতির কিছু মৌলিক বিষয় পরিবর্তনের ৩১ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে। এই ৩১ দফা নিয়ে আমরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছি। এসব করা হচ্ছে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য।
তিনি বলেন, আপনাদের আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারকে বিদায় দিয়ে গণতান্ত্রিক বিজয়ের একটি অংশ অর্জন করেছি। কিন্তু আমাদের মূল লক্ষ্য জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার। যে আন্দোলন বিগত ১৭ বছরে ধরে আমরা বলে আসছি। সে আন্দোলন আমাদের করতে হবে।
কাদের গণি চৌধুরী বলেন, যত দিন পর্যন্ত ভোটাধিকার ফিরে না আসবে এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফ্যাসিবাদের দালালরা এখনো জেঁকে বসে আছে। নতুন করে যে জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেখানেও অনেক ফ্যাসিবাদের দালাল পোস্টিং পেয়েছেন।
মন্তব্য করুন