মানহানির অভিযোগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, রিজভীর উক্তির কারণে বাদীর মানহানি হয়েছে। যা টাকার হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন : রিজভীর বিরুদ্ধে হিরো আলমের মামলা, তদন্তে ডিবি
সোমবার (৭ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এরপর শুনানি শেষে আদালত মামলার অভিযোগ তদন্ত করে ডিবি পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এদিন বেলা ১২টার পর আদালতে উপস্থিত হন হিরো আলম। তার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মনসুর মামলার আবেদন করেন। এরপর আদালত হিরো আলমের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। শুনানি শেষে আদালত মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ডিবি পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলার পর বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা হিরো আলমের উদ্দেশে ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দিতে থাকেন। এ ছাড়া সফিকুল ইসলাম সবুজ নামে বিএনপিপন্থি এক আইনজীবী প্ল্যাকার্ড হাতে হিরো আলমকে পচা আলম বলে প্রতিবাদ করেন। তিনি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী।
আরও পড়ুন : গালি দিলে কাউকে ছাড় দেব না : হিরো আলম
মামলার পর হিরো আলম সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘রিজভীকে মাফ করে দেওয়া হোক, যাতে আমাকে নিয়ে কেউ কোনো কথা না বলে। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ, বিএনপির কোনো লোক আমাকে নিয়ে যেন বকাবকি করে কথাবার্তা না বলে তাই আমি আদালতে এসেছি। ভবিষ্যতে আমাকে নিয়ে গালাগাল করলে আমি একটাকেও ছাড় দেব না।'
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট হিরো আলম নিজের মোবাইলে ইউটিউব দেখছিলেন। তখন দেখেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জনতার সামনে বক্তব্য দিচ্ছেন। তার বক্তব্যে বলেন, ‘হিরো আলমের মতো একটা অর্ধ পাগল, অর্ধ শিক্ষিত একটা লোক। সে নির্বাচন করছে, মানে রুচি কতটা বিকৃত হলে এ কাজ করতে পারেন।’ রিজভীর এই বক্তব্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং লিখিতভাবে লিফলেট আকারে প্রচার ও প্রকাশ করে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের চুলচেরা বিশ্লেষণে হিরো আলম একজন সুস্থ, নির্বাচন করার জন্য উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে তিনবার প্রমাণিতও যোগ্য হয়েছেন। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে তিনি বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান প্রচার করেন। তার অসংখ্য ভক্ত রয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, রিজভীর বক্তব্যের কারণে বাদী ও তার ভক্তদের মাঝে হতাশাসহ ক্ষোভ বিরাজ করছে। তার মানহানিকর, সুনামক্ষুণ্ন হয় এমন কটূক্তি, মিথ্যা, অসত্য বক্তব্য, মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার সম্পূর্ণ নিন্দনীয়। তার বক্তব্যে বাদী সামাজিকভাবে চরম হেয়প্রতিপন্ন হয়েছেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, বিএনপির বিভিন্ন প্রোগ্রামে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময়ে বাদীকে নিয়ে কটূক্তি ও আক্রমণাত্মক মানহানিকর বক্তব্যে প্রচারের মাধ্যমে অপমান, অপদস্ত করেছেন। তাছাড়া আসামির এই অপমানকর, আপত্তিকর বক্তব্যের কারণে বাদী বিএনপির নেতাকর্মী তথা রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের হামলা/হয়রানির আশঙ্কা করেন। আসামির উক্তির কারণে বাদীর মানহানি হয়েছে। যা টাকার হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা।
মন্তব্য করুন