কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘আদালত নিজস্ব গতিতে চলবে, ক্যাঙ্গারু কোর্ট থাকবে না’

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভুঁইয়া মিল্টন। ছবি : সংগৃহীত
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভুঁইয়া মিল্টন। ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভুঁইয়া মিল্টন বলেছেন, নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে গিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট মামলা দিয়েছেন। আদালতকে ব্যবহার করে আমাদের সাজা দিয়েছেন। আদালত এখন নিজস্ব গতিতে চলবে, ক্যাঙ্গারু কোর্ট থাকবে না।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে ৯ বছরের নির্বাসনে রেখেছিল। গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবে স্বৈরাচার হাসিনার সরকারের পতনের পর নতুন বাংলাদেশে ফিরে এসেছি। শেখ হাসিনা আমার পরিবারের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিন তিনি ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালতে হাজির হন। এরপর তার আইনজীবী মো. মাসুদুর রহমানের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও মিজানুর রহমান ভূঁইয়াসহ পাঁচজনের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। পরে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি মিজানুরের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যে কোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্য দলগুলোর উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় এ মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গুমের মামলায় শেখ হাসিনার আইনজীবী জেড আই খান পান্না

বাংলাভিশনকে হারিয়ে সেমিফাইনালে কালবেলা

রূপলাল হত্যার আসামি গ্রেপ্তার

আজ থেকে বন্ধ বাংলাদেশ ব্যাংকে সরাসরি গ্রাহকসেবা 

বিপিএলে বাড়তে পারে আরও এক দল, আলোচনায় নতুন নাম

‘১৭ বছর পর ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে এসেছে’

নিজের চেহারা নিয়ে যা বললেন ধানুশ

একসঙ্গে জন্ম নেওয়া পাঁচ শিশুকে গাভি উপহার

এক পদের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২ পদে শিক্ষক নিয়োগ

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

১০

দেবের সঙ্গে রোম্যান্সে নজর কেড়েছেন জ্যোতির্ময়ী

১১

আটটির মধ্যে পাঁচটি যুদ্ধ থামিয়েছি : ট্রাম্প

১২

বরিশালের এক নেত্রীকে সুসংবাদ দিল বিএনপি

১৩

ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা, গণপিটুনিতে নিহত ১

১৪

প্রসূতির মৃত্যু, পালিয়ে গেলেন চিকিৎসক-নার্স

১৫

টাইপকাস্ট হতে চান না তৃপ্তি

১৬

আয়ারল্যান্ড সিরিজ মিস করবেন তারকা ক্রিকেটার!

১৭

ফাতিমাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন বিজয়

১৮

পদ্মার চরে কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা

১৯

জেনে নিন আজকের স্বর্ণের বাজারদর

২০
X