বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে যে ছাত্র-জনতা ক্ষমতায় বসিয়েছে সেই ছাত্র-জনতা আজ দাবি তুলেছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আজ দুপুরের আগেই সব রাজনৈতিক দলকে ডেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
শুক্রবার (৯ মে) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে তিনি এ কথা বলেন।
মাসুদ বলেন, বিগত বছরগুলোতে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। সকল দেশপ্রেমিক জনতার দাবি ছল গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে। আজ এই দাবি শুধু একটি দল বা গোষ্ঠীর না। এই দাবি এখন সব দেশপ্রেমিকের।
তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ দাবি তুলেছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের। তবে অবাক হচ্ছি, এখনো কেউ কেউ এই গণতান্ত্রিক দাবিকে থামানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এটা ভালো লক্ষণ না। ৫ আগস্ট যারা বুলেটের সামনে বুক পেতে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল, আজ তারাই এখানে এসেছে। আজও এখান থেকে বিজয় ছিনিয়ে না নিয়ে দেশের জনগণ যাবে না না না।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখানে রাজনৈতিক দল হিসেবে আসিনি। আমরা এসেছি ১৮ কোটি মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে। আমরা অনতিবিলম্বে গণহত্যাকারী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাই ঘরে ফিরতে চাই।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টা থেকে যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এতে জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, জুলাই ঐক্য, ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে যান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তাদের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও ছিলেন।
এনসিপির পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। রাত ১টার পর হেফাজতে ইসলামের বেশকিছু নেতাকর্মী যমুনার সামনে যান। রাত দেড়টার দিকে এবি পার্টির কিছু নেতাকর্মী যমুনার সামনে উপস্থিত হন। রাত ২টার দিকে সেখানে যান ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা।
পরে রাত ২টার দিকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। আমরা সরকারের বাইরে এবং ভেতরে সেই দাবি বলেছি। কিন্তু আজকে নয় মাস পরেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের জন্য আমাদের আবার রাজপথে নামতে হয়েছে।
এ কর্মসূচিতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে ইন্টেরিমকে আর সময় দিতে রাজি নই, লাশ হয়ে ফিরব না হয় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশ-র্যাব অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান করেন। তারা নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।
শিক্ষার্থীদের অবস্থানকে কেন্দ্র করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনের সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। সেখান দিয়ে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মন্তব্য করুন