পতিত স্বৈরাচারের মতো অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু কিছু উপদেষ্টাও নির্বাচনের কথা শুনলে ভয় পায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক।
রোববার (২৫ মে) বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরস্থ সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ এর দুইটি খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আমিনুল হক অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা জানি না, কেন আপনাদের ভয় লাগে? কীসের ভয় আপনাদের? এ দেশের সাধারণ মানুষ এবং বিএনপির প্রত্যেকটি নেতাকর্মী আপনাদের সমর্থন দিয়েছে। দ্রুত সময়ের ভেতর আপনারা একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিবেন। কিন্তু নির্বাচনের কথা শুনলেই কেন জানি আপনাদের গায়ে জ্বালা ধরে যায়। সংস্কার ও বিচারের কথা বলে এবং নতুন নতুন অজুহাত সামনে দাঁড় করিয়ে দেন।
নির্বাচন দিতে সমস্যা কোথায়- সরকারের কাছে এই প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, নির্বাচন দিতে আপনাদের সমস্যা কোথায়? এ দেশের মানুষ আপনাদের কাছে জানতে চায়। আমরাও জানতে চাই।
নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে আমিনুল হক বলেন, নির্বাচন হচ্ছে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। এ দেশের জনগণের মতামতের একটি প্রক্রিয়া। আমরা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করি। বিএনপি সবসময় গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছে। এ দেশের সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলেছে। সেই সাধারণ মানুষের যে প্রত্যাশা গত ১৫ বছর যারা নতুন করে ভোটার হয়েছেন এবং এদেশের মানুষ- যারা ভোট দিতে পারে নাই। কীভাবে ভোট দিতে হয় তাও তারা জানে না। সেই মানুষ গুলো তারা ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা রয়েছে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা, কিছু ষড়যন্ত্রকারী, কিছু গণমাধ্যমের ষড়যন্ত্রকারী ষড়যন্ত্রের বীজ বপন করে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে।
দেশে কিছু হলেই বিএনপির উপরে দোষ চাপিয়ে দেয় একটি গোষ্ঠী- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশে কিছু হলেই- ভালো হউক আর মন্দ হউক- বিএনপির দোষ বলে একটি গোষ্ঠী চালিয়ে দেয়। বিএনপি অত্যন্ত আন্তরিকভাবে এদেশের মানুষের জন্য কাজ করে। এদেশের জনগণের যে প্রত্যাশা-সে প্রত্যাশা পূরণের জন্য কাজ করে।
রাষ্ট্রীয় সংস্কারের জন্য ৩১ দফার গুরুত্ব তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি এ দেশের সাধারণ মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণের লক্ষ্য নিয়ে কথা বলছে। বিএনপির ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার কর্মপরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলেই বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পরিপূর্ণভাবে সংস্কার করা সম্ভব হবে।
এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মো. মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দুপুরে মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৪ আগস্টে মেরুদণ্ডের হাড়ে গুলিবিদ্ধ ফাহিম হাসানকে দেখতে যান ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
এছাড়া সন্ধ্যায় মিরপুরের রূপনগর আবাসিক কমিউনিটি সেন্টারে রূপনগর প্রেসক্লাবের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আমিনুল হক। রূপনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ এতে সভাপতিত্ব করেন।
মন্তব্য করুন