বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম
আপডেট : ১৩ জুন ২০২৫, ১১:৩০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে হতাশার কথা জানালেন হাসনাত

হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি : সংগৃহীত
হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি : সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচনের সময় যেভাবে গুরুত্ব পেয়েছে, অভ্যুত্থান-পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা বিচার ও সংস্কার সেভাবে প্রাধান্য পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

শুক্রবার (১৩ জুন) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ হাতাশার কথা জানান।

পোস্টে হাসনাত লেখেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের বৈঠককে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখি। জাতীয় ঐক্যমত্যের প্রশ্নে, দেশের স্বার্থে সরকারের সাথে সকল রাজনৈতিক দলের এমন সুসম্পর্কই কাম্য।’

সরকারের উদ্দেশে এই এনসিপি নেতা বলেন, ‘কিন্তু হতাশার বিষয় বৈঠকে নির্বাচনের মাস ও তারিখ যেভাবে গুরুত্ব পেয়েছে, অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা বিচার ও সংস্কার সেভাবে প্রাধান্য পায়নি। এই সরকার শুধুমাত্র নির্বাচন দেওয়ার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো রূপ নয় বরং একটি অভ্যুত্থানের উপর দাঁড়িয়ে, দেশের মানুষের অসংখ্য ত্যাগের উপর দাঁড়িয়ে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার কাছে দায়বদ্ধ একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।’

‘জুলাই মাসের মধ্যে জুলাই ঘোষণা পত্র ও জুলাই সনদ, মৌলিক সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার এবং নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন নির্বাচনের পূর্বশর্ত।’

‘জুলাই সনদের পূর্বে নির্বাচনের মাস আর তারিখ নিয়ে কথা বলা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়বদ্ধতা ভুলে যাওয়ার নামান্তর। সনদ রচনার পরেই নির্বাচন বিষয়ক আলোচনা চূড়ান্ত হওয়া উচিত।’

সারা দেশে চাঁদাবাজি ও অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের স্থানীয় পর্যায়ে ইতোমধ্যে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, প্রশাসনকে প্রভাবিত করা, পেশি শক্তির প্রদর্শনসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের নানা দৃষ্টান্ত প্রতিনিয়ত দৃশ্যমান হচ্ছে‌। এই অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। যেটা নির্বাচনের অন্যতম আরেকটি পূর্বশর্ত।’

হাসনাত বলেন, ‘নির্বাচনের মাস এপ্রিল কিংবা ফেব্রুয়ারি যেটাই হোক না কেন, তার চেয়ে মুখ্য বিষয় হচ্ছে নির্বাচনের পূর্বে জুলাই সনদ দৃশ্যমান বিচার এবং মৌলিক সংস্কার গুলো হচ্ছে কিনা।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পরশুরাম উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ঢাকায় গ্রেপ্তার

‘প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্ত হলে সম্পূর্ণরুপে নিরাময় সম্ভব’

চুরি, ডাকাতি ও হত্যার ঘটনায় আতঙ্কিত তারাগঞ্জবাসী

চৌদ্দগ্রামে মেম্বারকে শালিশে না ডাকায় নারীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ

রংপুরের ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি হিন্দু মহাজোটের

জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শীর্ষস্থানে : যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত

স্বামীর বিরুদ্ধে ‘বালিশ চাঁপা’ দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ 

৩ বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস

মাদ্রাসার সভাপতিকে বাদ দিতে সুপারের কাণ্ড

বিভাজন না করে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়তে হবে : শিক্ষা উপদেষ্টা

১০

শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যার অভিযোগ

১১

কাপ্তাই হ্রদ থেকে বালু উত্তোলন, জরিমানা

১২

‘তারেক রহমানই গণঅভ্যুত্থানের মূল নায়ক’

১৩

গভীর সমুদ্রে মাছ আহরণে জোর দেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

১৪

পুলিশের আরও ৫ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

১৫

রাবিপ্রবির ১০ শিক্ষার্থীর সনদ ও ছাত্রত্ব বাতিল

১৬

রাষ্ট্র মেরামতের এই সুযোগ কোনোভাবেই মিস করা যাবে না : আইন উপদেষ্টা 

১৭

স্বাক্ষরের দিন থেকেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে : এবি পার্টি

১৮

আ.লীগ বিএনপিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল : প্রিন্স

১৯

সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রের উত্তরণকে সংকটে ফেলবে : তারেক রহমান

২০
X