বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলছেন, বিগত ১৭ বছর ধরে শিশুরা প্রকৃত শিক্ষা-সাংস্কৃতিক আলো থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কুশিক্ষা ও বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ফলে ফ্যাসিস্ট সরকার অটো পাস প্রথা চালু করেছিল। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যদি সুশিক্ষার আলোকে গড়ে তুলতে না পারি বিশ্বের বুকে মেধাশূন্য জাতি হিসেবে অন্ধকারে নিমজ্জিত হব।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে রাজধানীতে বাংলাদেশ জিয়া শিশু একাডেমির এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকার কাকরাইলস্থ আইডিইবি ভবনের সেমিনার হলে শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ ও উৎসাহদানে আবৃত্তি, অভিনয়, সংগীত, নৃত্য ও ছবি আঁকায় ১৩তম জাতীয় শিশু শিল্পী প্রতিযোগিতা ‘শাপলাকুঁড়ি’ ২০২৫-এর চূড়ান্ত নির্বাচন গতকাল সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে। যা চলবে ২১ জুন পর্যন্ত। সারা দেশ থেকে প্রাথমিক নির্বাচনে বিজয়ী ক্ষুদে নৃত্যশিল্পীদের নানা সাজে পরিপূর্ণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও একাডেমির পৃষ্ঠপোষক গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমান শিশুদের মাঝেই দেখেছিলেন- আজ এবং আগামীর বাংলাদেশ। সে লক্ষ্যে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন শিশু একাডেমি এবং শিশু পার্ক। চালু করেন টেলিভিশনে নতুনকুঁড়ি প্রতিযোগিতা, সেই বন্ধ হওয়া নতুনকুঁড়ির ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে তারেক রহমান ১৯৯৯ সালে ‘শাপলাকুঁড়ি’ প্রতিযোগিতা উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ জিয়া শিশু একাডেমির কার্যক্রম শুরু করেন। এই ‘শাপলাকুঁড়ি’র ক্ষুদে শিল্পীরাই দেশ-বিদেশে তুলে ধরছে বাংলাদেশি কৃষ্টি-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। দেশ এবং জাতিকে মনে রাখতে শিশুদের মাঝেই খুঁজতে হবে নতুন বাংলাদেশের ঠিকানা।
বাংলাদেশ জিয়া শিশু একাডেমির মহাপরিচালক এম হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন নৃত্য পরিচালক ইভান শাহরিয়ার সোহাগ, অভিনেত্রী মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী, ‘শাপলাকুঁড়ি’ থেকে উঠে আসা উপস্থাপিকা রুহানী সালসাবিল লাবন্য ও ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান।
অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন একাডেমির পরিচালক সামিনা আখতার।
মন্তব্য করুন