

ঢাকা-১৬ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, মাদক এবং অবৈধ দখলদারিত্ব সমাজের জন্য মারাত্মক হুমকি। এই সমস্যা সমাধানে এবং একটি সুন্দর সমাজ গঠনে শিক্ষা ও স্থায়ী পুনর্বাসন নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই।
সোমবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর দুয়ারীপাড়া আইনউদ্দীন হায়দার ও ফয়জুন্নেসা ওয়াকফ্ এস্টেট-এর উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভা ও উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আমিনুল হক আরও বলেন, আমাদের প্রতিটি সন্তানকে পড়াশোনা করাতে হবে। পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। আর একটি শিক্ষিত জাতি গড়ে তোলা গেলে মাদকের সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে।
মাদকের কারণে অনেক যুব সমাজ ও তরুণরা মৃত্যুর মুখে ঝুঁকে পড়ছে উল্লেখ করে এ সমস্যা সমাধানে সকলের সহযোগিতা কামনা করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এই আহ্বায়ক। তিনি বলেন, আমি একা এ কাজ করতে পারব না—যদি আপনারা আমাকে সহযোগিতা না করেন। আমি চাই, মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার মাধ্যমে আমরা যাতে একটি সুন্দর সমাজ গড়ে উঠতে পারি।
আমিনুল হক পল্লবী-রূপনগরের নিম্ন আয়ের এবং উর্দুভাষী মানুষের জন্য স্থায়ী পুনর্বাসন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, স্থায়ী পুনর্বাসনের মাধ্যমে প্রতিটি এলাকায় স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ করে বিনামূল্যে শিক্ষা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে। তিনি তার নির্বাচনী এলাকাকে নতুনভাবে গড়ে তোলার জন্য সকলের একান্ত সহযোগিতা কামনা করেন।
আমিনুল হক বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ওই স্বৈরাচার সরকার জনগণের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্রহরণ করেছিল। ওয়াকফ সম্পত্তি আইনগতভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হলেও আওয়ামী লীগের কিছু অসাধু লোকজন অবৈধভাবে তা দখল করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে। এ জন্যই তাদের ফ্যাসিস্ট উপাধি হয়েছে।
তিনি এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমি কিন্তু আপনাদের এলাকার সন্তান। আমি এখানেই ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছি। আমি এখানেই থাকব। এ সময় তিনি এলাকাবাসীর কাছে চার মাসের সময়-ধৈর্য চেয়ে নেন। আমিনুল হক অঙ্গীকার করে বলেন, আগামী নির্বাচনে আপনাদের ভোটে, সাধারণ মানুষের ভোটে বিএনপি যদি বিজয়ী হয়, আপনাদের এলাকার সন্তান হিসেবে আপনারা যদি আমাকে ধানের শীষের প্রতীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন, আমি আপনাদের কাছে ওয়াদা করছি—কোনো মিথ্যা আশ্বাস দিব না, আপনাদের যাদের জায়গার বৈধতা রয়েছে—আমি সরকারের দুই পক্ষকে বসিয়ে আপনাদের এই সমস্যার সমাধান অবশ্যই করব।
এ সময় তিনি চাঁদাবাজ ও দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। আমিনুল হক বলেন, যদি বিএনপির কোনো নেতা বা কর্মী দখলদারি বা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকে, তাকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক এবং আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, আমি এবং আমার দল বিএনপি কোনোভাবেই কোনো চাঁদাবাজ, কোনো দখলদারকে প্রশ্রয় দেই না। বিএনপি রাজনীতি করে শুধু জনগণের কল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, মাহবুব আলম মন্টুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন