গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, এই সরকারের পরিবর্তনের জন্য মানুষ এখন সিদ্ধান্তমূলক কর্মসূচির অপেক্ষা করছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ধারাবাহিকভাবে জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী একের পর এক কর্মসূচি দিয়ে এ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে।
তিনি দল-মত নির্বিশেষে দেশ ও জনগণকে রক্ষার এই সংগ্রামে সবাইকে অংশগ্রহণের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে তালতলা মার্কেটের সামনে একদফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চের পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত গণসমাবেশে এসব কথা বলেন মান্না।
গণসমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এই সরকার জনমতকে উপেক্ষা করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে দেশকে নানা দিক থেকে গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। একদিকে সরকারের বেপরোয়া তৎপরতায় সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে পরাশক্তিগুলোর হস্তক্ষেপের রাস্তাও তারা তৈরি করে দিচ্ছে। সরকারের এই আচরণের জন্য আজকে বাংলাদেশকে অবমাননাকর ভিসানীতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এখনো পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সরকারের বিদায় নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। না হলে গণআন্দোলন-গণঅভ্যুত্থানের পথে এই সরকারকে বিদায় নিতে বাধ্য করা হবে।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূমের সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রীতম দাশের সঞ্চালনায় গণমিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত গণসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জেএসডির সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আনছার আলী দুলাল, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক ড. আবু ইউসুফ সেলিম, জেএসডির ঢাকা মহানগর পূর্বের আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাসিম, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের অর্থনৈতিক সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে তালতলা মার্কেট থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে মালিবাগ হয়ে আবুল হোটেলের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন