ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ কিছু অকার্যকর সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একতরফা নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন মূলতঃ ‘কিংডম অব গুম-খুন-দুর্নীতি’ প্রতিষ্ঠিত করতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে আমার বাংলাদেশ (এবি পার্টি)। বিগত দুটি জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে না পারা ‘বঞ্চিত ভোটারদের এক প্রতিবাদ সমাবেশে’ এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ এই মন্তব্য করেন।
দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে বিজয়নগরস্থ বিজয়-৭১ চত্বরে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। চলমান রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে এরআগে ‘ভোটের অধিকার হরণকারী সরকারের পদত্যাগ ও প্রহসনের নির্বাচনী তপশিল বাতিলের দাবিতে গত ২টি নির্বাচনে ভোট দিতে না পারা ‘বঞ্চিত ভোটারদের সমাবেশে’র ডাক দেয় এবি পার্টি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও বিএম নাজমুল হক, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্যসচিব ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি, শাহ আব্দুর রহমান, এস এম আক্তারুজ্জামান প্রমুখ।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনারগণ সংবিধানের শপথ ভঙ্গ করে আওয়ামী লীগের সাজানো প্রেসক্রিপশনে নির্বাচনের আয়োজন করে দেশকে চরম অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। গত ১৫ বছরে দেশে যে লুটপাট ও স্বৈরতন্ত্র কায়েম হয়েছে তাতে এখন এটাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশেষ দল ও গোষ্ঠীর নিজস্ব রাজ্য ঘোষণা করা বাকী আছে। ৭ জানুয়ারি যদি নির্বাচন হয় তাহলে সেটা হবে ‘কিংডম অব গুম খুন ও দুর্নীতি’ প্রতিষ্ঠিত করার নির্বাচন’।’
আমলা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সামরিক, বেসামরিক কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘আপনারা একটি ফ্যাসিবাদী সরকার টিকাতে জনগণের সকল অধিকার হরণ করেছেন। যথেষ্ট হয়েছে আর না, সাবধান হয়ে যান। লুটেরাদের সাথে লুট করে সম্পদ পাচার করে এবার টিকে থাকতে পারবেন না। জনগণের কাতারে ফিরে আসুন, দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফেরাতে কাজ করুন। আমাদের এই আন্দোলন বাংলাদেশের সকল ভোটাধিকার বঞ্চিত মানুষের পক্ষ থেকে আন্দোলন ‘
সভাপতির বক্তব্যে মেজর (অব.) মিনার বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে ‘১৪ সালে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আগেই বিনা ভোটে পাস, ‘১৮ সালে অনেক কষ্টে ভোট কেন্দ্রে গিয়েও শুনলাম রাতেই বাক্স ভরে গেছে। জনগণ এই নাটক আর চলতে দিতে পারে না।’ তিনি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ২৪ সালের এই ভোট নাটক প্রতিহতের আহবান জানান।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক গাজী নাসির, যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, আহমাদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, আমিরুল ইসলাম নুর, যুবপার্টি মহানগর উত্তরের আহবায়ক হাদিউজ্জামান খোকন, যুগ্ম সদস্য সচিব মাসুদ জমাদ্দার রানা, রাজিয়া সুলতানা, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব শাহিনুর আক্তার শীলা, সাবেক ছাত্র নেতা রিপন মাহমুদ, নারীনেত্রী আমেনা বেগম, ফেরদৌসী আক্তার অপি, রুনা হোসাইন, সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন