ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
কালবেলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ছয় থেকে সাত শতাংশের বেশি ভোট কোথাও পড়েনি। আমি মনে করি নির্বাচন কমিশন বিষয়টিকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বলছে।’
তিনি বলেন, ‘ভোটাররা এমন নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী নয়। আমি মনে করি, ৬ পার্সেন্টের বেশি ভোট কোথাও পড়েনি। এর প্রথম কারণ হলো কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, যাকে আওয়ামী লীগ মনোনীত করেছে- তাদের সমর্থকরাই তাকে ভোট দেয়নি। কারণ উনি রাজনৈতিকভাবে পরিচিত নন। তিনি রাজনীতিবিদ নন। রুলিং পার্টির অনেক রাজনৈতিক নেতা ছিল। তারা বেশিরভাগই জনগণের কাছে পরিচিত। কিন্তু আরাফাত ভোটারদের কাছে পরিচিত কেউ নন।’
জনগণ ভোট দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষ এখন ভোট দিতে কোনো আগ্রহ পাচ্ছে না। কারণ ভোটের যে একটা আমেজ থাকে; সেটা নাই। এই দুই/তিন/পাঁচ মাসের জন্য লোকে কেন ভোট দেবে? ভোটাররা অত বোকা না যে তারা ক্যালকুলেট করতে পারবে না- কে তিন চার মাসে কতটুকু কী করতে পারে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো- এটা খুবই খারাপ সাইন যে ভোটাররা ভোট দিতে আসছে না।’
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটাররা এলেও এই নির্বাচনে তাদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৩০০ আসনে যখন নির্বাচন হয় তখন দুই বা পাঁচজন ব্যবসায়ী বা অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে ফোকাস করা হচ্ছে সেখানে এমন প্রার্থীর মনোনীত করার কারণে ভোটাররা আসেনি।
ঢাকা -১৭ আসনে উচ্চবিত্তরা অনেকেই ভোট দিতে আসেননি, এ কারণে ভোটার উপস্থিতি কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই এলাকার নিম্নআয়ের মানুষরা আসলেও তো ছয় শতাংশের বেশি ভোট পড়ার কথা ছিল।
এ আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের মোহম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টির সিকদার আনিসুর রহমান, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. আকবর হোসেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন মো. তারিকুল ইসলাম ও মো. আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
মন্তব্য করুন