দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালুর পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের। তিনি বলেন, দেশে এখন গণতন্ত্র নেই।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বনানীতে দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার যেভাবে নির্বাচন করে যাচ্ছে; আগামীতেও সেভাবে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে সেটা যদি গ্রহণযোগ্য করাতে পারে- তাহলে গণতন্ত্র রুদ্ধ হয়ে যাবে।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, তখন একজন নেতা থাকবেন, তিনি আজীবনই নেতা থাকবেন। একটি মাত্র দল থাকবে, তারা চাইলে শোভার জন্য কিছু পাপেট দল তৈরি করে রাখতে পারবেন। নির্বাচনের পরিবর্তে সবকিছুই সিলেকশনে হবে। কখনো নির্বাচন হলে সুপ্রিম লিডারের নির্দেশেই হবে বলেও যোগ করেন তিনি।
ব্যবসায়ী ও পেশাদার সংগঠনসহ সবকিছুই এখন সিলেকশনের দিকে চলে গেছে উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ব্যবসায়ী, প্রকৌশলী, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী এবং ডাক্তারদের সংগঠনও সিলেকশনের দিকে যাচ্ছে। দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালুর পাঁয়তারা চলছে। পরিস্থিতি এমন, জনগণের কোনো অধিকার থাকবে না, তারা প্রজা হিসেবে চাকরের মতো বিবেচিত হবে। চলমান এই দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে শুধু রাজনৈতিক দল নয়, জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, দুটি কাজ সরকার সাফল্যের সঙ্গে করতে পেরেছে। এর একটি হচ্ছে, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি। জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে ভয়ে কথা বলতে পারছে না। নির্যাতন, নিষ্পেষণ এবং কঠোরভাবে দমনের ভয়ে মানুষ সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে যোগ দিতে আতঙ্কিত হচ্ছেন।
দ্বিতীয় হচ্ছে, মানুষের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করতে পেরেছে। সরকারের ভাগ্য ভালো, আন্তর্জাতিক কিছু সমর্থনের কারণে টিকে গেছে। এ কারণে সাধারণ মানুষ মনে করে, আন্দোলন করে কোনো ফল হবে না। এই দুটি বিষয় থেকে মানুষকে আস্থার জায়গায় নিয়ে আসতে হবে। জনগণের সক্রিয় সমর্থন ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলো কিছুই করতে পারবে না বলেও যোগ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন