ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১০ এএম
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

পরপর ৩ জুমা না পড়লে যা ঘটে

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন শুধু তাঁর ইবাদতের জন্য। আর ইবাদতের শ্রেষ্ঠতম রূপ হলো নামাজ। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ অর্থাৎ, নামাজ ছাড়া ধর্মের ভিত্তি গড়ে ওঠে না।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তুমি সূর্য হেলার সময় থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত নামাজ কায়েম কর এবং ফজরের নামাজ (কায়েম কর)। নিশ্চয়ই ফজরের নামাজে সমাবেশ ঘটে।’ (সুরা বনি ইসরাঈল : ৭৮)

প্রতিদিন পাঁচওয়াক্ত ফরজ নামাজে মুসল্লিদের মোলাকাত ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্বের একটি বন্ধন তৈরি করে। এতে করে তারা পরস্পর পরস্পরের প্রতি স্নেহ-মর্যাদাশীল হয়ে ওঠে। সামাজিক চলাফেরায় ধনী-গরিবের বৈষম্য বিদূরিত হয়। সমাজে নববী সভ্যতার আবির্ভাব ঘটে।

ইসলামে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের মধ্যে জুমার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত অন্যতম। এ প্রসঙ্গে হাদিস শরিফে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন,‘যে ব্যক্তি জুমার দিন ফরজ গোসলের মতো গোসল করে এবং প্রথম প্রহরে মসজিদে যায়, সে যেন একটি উট কোরবানি করল। দ্বিতীয় প্রহরে গেলে গরু কোরবানির সওয়াব, তৃতীয় প্রহরে গেলে ভেড়া, চতুর্থ প্রহরে গেলে মুরগি এবং পঞ্চম প্রহরে গেলে ডিম কোরবানির সওয়াব পাবে। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে মিম্বারে ওঠেন, তখন ফেরেশতারা আর আমল লিখেন না, তারা খুতবা শুনতে থাকেন। (বোখারি : ৮৮১)

তবে, ফজিলতের পাশাপাশি জুমার নামাজ অনাদায়ে হাদিসে কঠিন শাস্তির কথা বলা হয়েছে। কেউ পর পর তিন জুমা আদায় না করলে তার জন্য সতর্কবাণী উল্লেখ করেছেন রাসুল (সা.)।

এক হাদিসে নবীজি (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত পরপর তিন জুমা পরিত্যাগ করে, আল্লাহ তায়ালা তার অন্তরে মোহর এঁটে দেন (তিরমিজি : ৫০০)। এ অবস্থায় তারা আত্মভোলা হয়ে যাবে। অতঃপর সংশোধন লাভের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়ে যাবে।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমা পরিত্যাগ করবে, সে ইসলামকে পেছনের দিকে নিক্ষেপ করল। (মুসলিম)

তবে অপর এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, চার শ্রেণির লোক ছাড়া জুমার নামাজ ত্যাগ করা কবিরা গোনাহ। এই চার শ্রেণির লোক হলো, ক্রীতদাস, স্ত্রীলোক, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক, মুসাফির ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। (আবু দাউদ)

এ ছাড়া নামাজ পড়া মুসলিমদের একটি নিদর্শন। তাই হজরত উমর (রা.) বলতেন, নামাজ ত্যাগকারী নির্ঘাত কাফের। (বায়হাকি : ১৫৫৯, ৬২৯১)

হজরত আলি (রা.) বলেন, যে নামাজ পড়ে না সে কাফের। (বায়হাকি : ৬২৯১)

নামাজ পরিত্যাগকারীর ব্যাপারে কোরআন-সুন্নাহর দলিলগুলো প্রমাণ করে, বেনামাজি ব্যক্তি ইসলাম নষ্টকারী বড় কুফরিতে লিপ্ত। তাই জুমা ও যেকোনো ওয়াক্তের ফরজ নামাজের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঘরে ঢুকে স্বামী দেখলেন স্ত্রীর গলা কাটা মরদেহ

কেশবপুরে বিএনপি নেতা আজাদের গণসংযোগ

মাঝরাতে হঠাৎ বুকে ব্যথা, প্রথম ১৫ মিনিটে কী করবেন?

নির্বাচনকে কেউ কলুষিত করতে চাইলে রেহাই পাবে না : ইসি আনোয়ার

সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মাদকসহ ভারতীয় পণ্য জব্দ

রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, ফ্লাইট ক্যাপ্টেন নিহত

জুলাই সনদ স্বাক্ষর নিয়ে ইইউর প্রতিক্রিয়া

 বিএইচআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিখিল মানখিন আর নেই

শাহজালালে আগুন : রোবট দিয়ে নেভানোর চেষ্টা

নাম রাখার ক্ষেত্রে যে ভুলগুলো কখনোই করবেন না

১০

এখন যারা আন্দোলন করছে, তারা স্ট্যান্ডবাজি করছেন : বাহাউদ্দীন

১১

শাহজালালে আগুন / ‘আড়াই টন মাল নেমেছে, সব পুড়ে গেছে নিশ্চিত’

১২

এক কোটি তরুণকে ঘিরে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে বিএনপি : মঈন খান 

১৩

বিতর্ক ছায়া সংসদে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির গৌরবময় বিজয়

১৪

ঢাকার ৮টি ফ্লাইট নামল চট্টগ্রামে

১৫

সাব্বিরের কাটা মাথা উদ্ধার, লোমহর্ষক বর্ণনায় উঠে এলো ভয়ংকর তথ্য

১৬

রোববার জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে আরও এক দল

১৭

বিশেষ অডিও বার্তায় যা বললেন শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক

১৮

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের তপশিল : সিইসি

১৯

আগুন লাগার ঘটনা নিয়ে সারজিসের পোস্ট

২০
X