কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঘূর্ণিঝড়ের সময় যে দোয়া পড়বেন

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগর থেকে দেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ খবর অনুযায়ী আগামী বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টার পর মধ্যরাতের ভেতর যেকোনো সময় ঝড়টি উপকূলে আঘাত হানতে পারে। সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন সময় নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি দিয়ে আমাদের পরীক্ষা করে থাকেন। এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে হযরত মুহাম্মদ (স.) এর শেখানো দোয়া আমাদের পাথেয়।

পবিত্র কোরআন মাজিদে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য, কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।’ (সুরা মুলক, আয়াত ২)

ঘূর্ণিঝড়, অতিবৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা ও অন্যান্য দুর্যোগের ক্ষয়-ক্ষতি থেকে বাঁচতে মহান আল্লাহর কাছে আমাদের বেশি বেশি দোয়া করতে হবে। পাশাপাশি দুর্যোগ থেকে পরিত্রাণের ব্যবস্থা ও আশ্রয় নেওয়ার ব্যবস্থাও করতে হবে। বৃষ্টি আমাদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। আবার অনেক সময় বিপদও ডেকে আনে। অতিবৃষ্টি ও বন্যা অবশ্যই আমাদের জন্য কষ্টের। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদিতে মোহাম্মদ (স.) এ দোয়া পড়তে বলেছেন।

‘আল্লাহুম্মা হাওয়া-লাইনা, ওয়ালা আলাইনা; আল্লাহুম্মা আলাল আ-কাম ওয়াজ জিরাব ওয়া বুতুনিল আওদিআ; ওয়া মানাবিতিস শাজার।’ (বুখারি, হাদিস ১০১৪)

অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের আশপাশে বৃষ্টি দিন, আমাদের ওপরে নয়। হে আল্লাহ! পাহাড়-টিলা, খাল-নালা এবং গাছ-উদ্ভিদ গজানোর স্থানগুলোতে বৃষ্টি দিন।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিপর্যয় ও প্রতিকূল অবস্থায় রাসুল সা. খুব বিচলিত হয়ে পড়তেন। আল্লাহর শাস্তির ভয় করতেন। রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘তোমরা বাতাসকে গালি দিও না। তবে যদি তোমরা একে তোমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেখতে পাও, তবে এ দোয়া করবে-

‘আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা মিন খাইরি হাজিহির রিহি ওয়া খাইরি মা ফিহা ওয়া খাইরি মা উমিরাত বিহি, ওয়া নাউজুবিকা মিন শাররি হাজিহির রিহি ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উমিরাত বিহি।’ (তিরমিজি, মিশকাত)

অর্থ: হে আল্লাহ! আমরা তোমার নিকট এ বাতাসের ভালো দিক, এতে যে কল্যাণ রয়েছে তা এবং যে উদ্দেশ্যে তা নির্দেশপ্রাপ্ত হয়ে এসেছে তার উত্তম দিকটি প্রার্থনা করছি। তোমার নিকট এর খারাপ দিক হতে, এতে যে অকল্যাণ রয়েছে তা হতে এবং এটা যে উদ্দেশ্যে আদেশপ্রাপ্ত হয়ে এসেছে তার মন্দ দিক হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছি যে লোকজন মেঘ দেখলে বৃষ্টির আশায় আনন্দিত হয়ে থাকে, আর আপনি তা দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েন? এর জবাবে রাসুল সা. বলেন, আমি এই ভেবে শঙ্কিত হই যে, বৃষ্টি আমার উম্মতের ওপর আজাব হিসেবে পতিত হয় কিনা। কেন না আগের উম্মতদের ওপর এ পদ্ধতিতে (বৃষ্টি বর্ষণের আকারে) আজাব পতিত হয়েছিল। (তিরমিজি ৩৪৪৯, বুখারি ৩২০৬, মুসলিম ৮৯৯)

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বহু হতাহত

বৃষ্টি আর কতদিন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

ইলিয়াস কাঞ্চনের মৃত্যুর গুজব, যা বললেন ছেলে জয়

শান্তিতে নোবেলজয়ী মারিয়াকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

দলে দলে ঘরে ফিরছে হাজারো গাজাবাসী

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

রাজধানী থেকে বগুড়া শহর আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

হেফাজতে ইসলাম সবার জন্য পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করছে :  এ্যানি

দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ

১০

ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া

১১

দেশের ৪০ শতাংশ নারী থাইরয়েডে আক্রান্ত!

১২

‘এই পচা চালের ভাত কীভাবে খাব’

১৩

‘পুলিশ এখন বানরের মতো’ বললেন ওসি হাবিবুল্লাহ

১৪

ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে নামতে পারে আর্জেন্টিনা

১৫

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরতে একমাত্র পথ সুষ্ঠু নির্বাচন : নীরব

১৬

যশোরের ৪ মহাসড়কে মহাদুর্ভোগ

১৭

সুদের টাকা না পেয়ে ঘরের টিন কাঠ খুঁটি খুলে নিলেন ইমাম

১৮

সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের মৃত্যুতে ঢাবি সাদা দলের শোক

১৯

কিউইদের কাছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শোচনীয় পরাজয়

২০
X