বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) প্রশ্নপত্র ফাঁসকাণ্ডে দেশজুড়ে সমালোচনার মধ্যে হঠাৎ করেই আলোচনা আসে সংগীত-অভিনয়শিল্পী তাহসান রহমান খান ও তার মায়ের নাম। ঘটনা নিয়ে সামজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন মিডিয়ায় আলোচনা হয় দিনভর।
তাহসানের মা সাবেক পিএসসি চেয়ারম্যান ড. জিনাতুন নেসার ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিসিএসে তাহসান প্রথম হয়েছেন—এমন দাবিও করা হয়। এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন জনপ্রিয় গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক প্রিন্স মাহমুদ।
বুধবার (১০ জুলাই) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লিখেন, প্রশ্নফাঁস ইস্যু থেকে নজর অন্য দিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই তাহসানকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
তিনি পোস্টে বলেন, তাহসানের নামে ছড়ানো খবরটি একেবারেই মিথ্যা, সম্পূর্ণ মিথ্যা। এসব খবর নজর অন্যদিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই। তাহসানের বাবা-মা দুজনই অত্যন্ত সৎ মানুষ। ছোটবেলা থেকে দেখেছি। সাধারণ সরকারি কর্মকর্তাদের বাচ্চাদের মতো বড় হয়েছে তাহসান। কোনোরকম বিলাসিতা দেখিনি। যা তাহসানের অর্জন সবটা গানের জন্যই।
এক নেটিজেন লিখেছিলেন, ‘মেসির মতো খেলোয়াড়ের ট্রফি জিততে যেমন পেনাল্টি লাগে না, তেমন তাহসানের মত ছাত্রকে ফার্স্ট হতে প্রশ্নপত্র লাগে না।’ এই পোস্ট শেয়ার করে ক্যাপশনে প্রিন্স মাহমুদ লেখেন, তাহসান শুধু শিল্প-সাহিত্যেই অসাধারণ নন, তিনি শিক্ষাজীবনেও সেরা।
প্রিন্স মাহমুদের পোস্টের কমেন্টসে একমত পোষণ করতে দেখা যায় খ্যাতিমান অভিনেত্রী সুবর্না মোস্তফাকে। তিনি প্রিন্স মাহমুদের কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
প্রসঙ্গত, সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা ওঠে, বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী তাহসানের মা ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম পিএসসির চেয়ারম্যান থাকাকালীন তার গাড়িচালক ছিলেন। সে সময়েও প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে জড়িত ছিলেন আবেদ। ফলে তাহসানের মায়ের নামও উঠে আসে। আর সে থেকেই গুঞ্জন ওঠে মা জিনাতুন নেসার চেয়ারম্যান থাকাকালীন ২৪তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন তাহসান। সে পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে পরীক্ষা পরবর্তীতে বাতিল করা হয়। এতে ভাইভাতে বাদ পড়েন তাহসান।
অপরদিকে সামাজিক মাধ্যমে রিউমার স্ক্যানার ফ্যাক্ট চেক প্রতিষ্ঠান বলেছে ২৪তম বিসিএসে ভাইভায় তাহসানের বাদ পড়ার বিষয়টি সত্য নয়। বিসিএসে তাহসান পররাষ্ট্র ক্যাডার হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে, সেটি প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পর-ই বাতিল হয়, তাই সেই বিসিএসে তাহসানের পররাষ্ট্র ক্যাডারে সুপারিশ পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই।
মন্তব্য করুন