নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভাষণ দেওয়ার পর বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সময় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল— এমন প্রচারণা পতিত শক্তির অপপ্রচার ছাড়া কিছুই নয়। মিথ্যাই এখন তাদের একমাত্র অবলম্বন।
তিনি লিখেন, নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার দুটি পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। প্রথম কর্মসূচি ছিল বিভিন্ন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীদের সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম নিজামী গাঞ্জাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক, যা সকাল ৯টায় হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় কর্মসূচি ছিল ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, যা অনুষ্ঠিত হয় জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সকাল সাড়ে ১০টায়।
আজাদ মজুমদার আরও লিখেন, কর্মসূচি শেষে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল যখন সাধারণ পরিষদের হলরুমে প্রবেশ করে, তখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন সেন্ট ভিনসেন্টের প্রধানমন্ত্রী রালফ গনজালভেস। এর আগে ইসরায়েল, পাকিস্তান ও চীনের প্রধানমন্ত্রীরা তাদের বক্তব্য শেষ করেন।
উল্লেখ্য, ওয়াশিংটন পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, নেতানিয়াহুর প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে ৫০টিরও বেশি দেশের ১০০ জনেরও বেশি কূটনীতিক হল থেকে বেরিয়ে যান। যারা চেয়ারে বসে ছিলেন তাদের অনেককে হাততালি দিয়ে উদ্যাপন করতে দেখা যায়। কয়েকটি গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের জন্য সংরক্ষিত চেয়ারগুলোও ফাঁকা।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, শুধু আরব ও মুসলিম নেতারাই অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেননি, তাদের সঙ্গে সঙ্গে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান আফ্রিকা ও ইউরোপের কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরাও।
মন্তব্য করুন