জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় সাকিবের বিরুদ্ধে অবস্থান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলে জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি প্রতিক্রিয়া জানান।
পোস্টে হামিম লিখেন, জনাব সাকিব-ভিকটিম সাজবেন না। ফ্যাসিবাদকে দীর্ঘায়িত করার সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে আপনি যুগের পর যুগ কলঙ্কিত অধ্যায় হয়ে থাকবেন।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) পাল্টা একটি পোস্ট করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। পোস্টে তিনি সাকিবের দেশে ফেরা ও খেলায় অংশগ্রহণের ব্যাপারে মন্তব্য করেন।
দুজনের পাল্টাপাল্টি এমন পোস্টে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় শুরু হয়।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে আবারও এক পোস্ট করেন করেছেন আসিফ মাহমুদ। এই পোস্টে তিনি সাকিবের রাজনীতি ও নির্বাচনকে ইঙ্গিত করে কথা বলেন এবং তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানান।
পোস্টে সাকিবকে ইঙ্গিত করে আসিফ মাহমুদ লেখেন, ‘ভাইয়া, আমাকে জোর করে নমিনেশন দেওয়া হয়েছিল। আমি শুধু নির্বাচনটাই করেছিলাম, আওয়ামী লীগের দলীয় রাজনীতিতে জড়িত হইনি।’
‘আপনারা তাকে জানেন, যার হাত ছাত্র-জনতার রক্তে রঞ্জিত তাকে বাংলাদেশের পতাকা বহন করতে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বোর্ডের কর্তারা একাধিকবার রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করতে বললেও তা না করে বরং খুনিদের এনডোর্স করা ছাড়াও শেয়ার মার্কেট কেলেঙ্কারি, মানিলন্ডারিং, ফিন্যান্সিয়াল ফ্রড করা কাউকে কেন শুধু ভালো ক্রিকেটার বলেই পুনর্বাসন করতে হবে?’
সাকিব আল হাসানকে উদ্দেশ করে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ শেষে লেখেন, ‘আইন সবার জন্য সমান, মুখোমুখি হোন।’
এর আগে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘একজনকে পুনর্বাসন না করায় সহস্র গালি দিয়েছেন আপনারা আমাকে। বাট আই ওয়াজ রাইট। এন্ড অব দ্য ডিসকাশন।’
পোস্টে আসিফ মাহমুদ কারও নাম উল্লেখ না করলেও, এরপরই সাকিব আল হাসান পাল্টা পোস্ট করেন। যদিও সাকিবও কারও নাম উল্লেখ করেননি।
মন্তব্য করুন