১৫ ওভারের ম্যাচ, ১৬৮ রানের লক্ষ্য, আর তার সঙ্গে বেঁচে থাকার লড়াই—সব মিলিয়ে করাচি কিংসের জন্য এটি ছিল ‘করতে না পারলে মরতে হবে’ টাইপের ম্যাচ। ডেভিড ওয়ার্নারের দল সেই চ্যালেঞ্জটা উতরে গিয়েছে সাবলীলভাবেই। লাহোর কালান্দার্সকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে টিকে থাকার লড়াইটা জিইয়ে রেখেছে তারা। কিন্তু পরাজয়ের মাঝেও এক ভিন্ন আলোয় উজ্জ্বল ছিলেন বাংলাদেশের তরুণ লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন।
টানা তিন ম্যাচ বাইরে থাকার পর এই ম্যাচে লাহোর একাদশে ফিরেছিলেন রিশাদ। প্রত্যাবর্তনের দিনে নিজের কাজটা ঠিকই করে দিয়েছেন তিনি। তিন ওভার বল করে দিয়েছেন ২৮ রান, তুলে নিয়েছেন একটি উইকেট। যদিও সেটা লাহোরকে জেতানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না, তবে নিজের ঝুলিতে ভরেছেন গর্ব করার মতো এক রেকর্ড।
নিজের প্রথম ওভারেই করাচির মারকুটে ওপেনার জেমস ভিন্সকে সিকান্দার রাজার হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান রিশাদ। এটাই ছিল তার পিএসএল ক্যারিয়ারের পঞ্চম ম্যাচে নবম উইকেট। এই উইকেটেই তিনি পেছনে ফেলেছেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহকে। পিএসএলে এখন বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট তারই!
তবে বল হাতে এই সাফল্য এলেও, দলের ভাগ্যে ছিল না জয়। করাচির ব্যাটাররা লাহোরের পেসারদের তুলোধুনো করে ছেড়েছেন। শাহিন আফ্রিদি ৩ ওভারে খরচ করেছেন ৪১ রান, হারিস রউফ দিয়েছেন ৪০। সে তুলনায় রিশাদের ইকোনমি ছিল তুলনামূলক কম। ব্যাটারদের চোখে কিছুটা হলেও ভয় জাগাতে পেরেছেন এই লেগস্পিনার।
শেষ পর্যন্ত করাচি লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ৩ বল হাতে রেখে, ৪ উইকেট হারিয়ে। লাহোরের পক্ষে এটা ছিল টানা জয়ের পর একটি গুরুত্বপূর্ণ হারের ধাক্কা। এখন প্লে-অফে যেতে হলে তাদের শেষ ম্যাচে জিততেই হবে। প্রতিপক্ষ পেশোয়ার জালমি। সে ম্যাচে হার মানেই বিদায়। তবে জালমি যদি নিজেদের বাকি দুই ম্যাচে হেরে বসে, তাহলে লাহোরের ভাগ্য খুলতেও পারে।
পয়েন্ট টেবিলে এখন লাহোর ৯ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে। করাচি এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে উঠে গেছে তিনে। জালমি খেলেছে ৭টি ম্যাচ, সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। শীর্ষে থাকা কোয়েটা ইতিমধ্যেই প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে।
সব মিলিয়ে রিশাদ হোসেনের জন্য ম্যাচটা ছিল এক অম্লমধুর অভিজ্ঞতা—দলের হার, কিন্তু ব্যক্তিগত সাফল্যে নাম লেখালেন রেকর্ডবুকে।
মন্তব্য করুন