বাংলাদেশ জাতীয় দলের এক দুর্দান্ত ভরসার নাম মুশফিকুর রহিম। গত কিছু ম্যাচ ধরে অবশ্য সেই ভরসার জায়গাটি ঠিক ছিল না । তবে এবার গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান প্রথম টেস্টে ফের সে ভরসার কথাই মনে করালেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক। চাপের মুখে নেমে ক্যারিয়ারের ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মুশফিক, যেটি এসেছে দুর্দান্ত দৃঢ়তা, ধৈর্য ও পরিণত ব্যাটিংয়ের এক অনন্য প্রদর্শনীতে।
মঙ্গলবারের সকালে যখন তিনি ব্যাট হাতে নামেন, স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের রান মাত্র ৪৫, উইকেট পড়ে গেছে তিনটি। চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক শান্তর সঙ্গে মিলে গড়ে তোলেন ২৩৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। আর সেই জুটির ছায়াতেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
সেঞ্চুরির মুহূর্তে বোলার ছিলেন আসিথা ফার্নান্দো। ১২৬ কিলোমিটার গতির গুড লেন্থ বলটি তিনি ঠেকালেন অফ স্টাম্পের সামনে থেকে। ব্যাটে ভেতরের ধারে লাগলেও সৌভাগ্যক্রমে বল সোজা স্টাম্পে লাগেনি। বল গড়াতে থাকে উইকেটের পাশে আর মুশফিক ততক্ষণে ১ রান নিয়ে পৌঁছে যান কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কের ঘরে।
সেঞ্চুরি উদযাপন ছিল শান্ত কিন্তু অর্থবহ—হেলমেট খুলে উপরের দিকে তাকিয়ে কৃতজ্ঞতা জানান, সতীর্থদের দিক থেকে আসা করতালিতে নিজের কাজের স্বীকৃতি পান। শান্ত তখনই এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরেন দলের এই নির্ভরযোগ্য ব্যাটারকে।
এই শতক এসেছে প্রায় ১১ মাস পর। ২০২৪ সালের আগস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে করা ১৯১ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংসের পর থেকেই রানখরা চলছিল মুশফিকের ব্যাটে। সেই ব্যর্থতা পেছনে ফেলে এবার গলে তিনি ফিরেছেন নিজের চেনা রূপে।
তার এই ইনিংসে ছিল সংযম ও ম্যাচ পড়ার অনন্য ক্ষমতা। শতকে পৌঁছাতে খেলেছেন ১৭৫ বল, হাঁকিয়েছেন ৫টি চার। তার ব্যাটিংয়ের সৌন্দর্য ছিল শট নির্বাচনে এবং চাপকে উপেক্ষা করে শান্তর সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় ইনিংস গড়ে তোলায়।
শেষ খবর অনুযায়ী, তিন উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৮৪ রান। ক্রিজে দুই শতকধারী—শান্ত ও মুশফিক। এই ইনিংস বাংলাদেশকে বড় স্কোরের পথে নিয়ে যাবে বলেই আশা দলের।
মন্তব্য করুন