

শততম টেস্ট খেলার গৌরব অর্জন করায় বাংলাদেশের ক্রিকেটের ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ মুশফিকুর রহিমকে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয়েছে। এ সম্মাননায় ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানান মুশফিক। একটি মানসম্মত ক্রিকেট একাডেমি গড়ার ঘোষণা দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তরুণ ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকে বগুড়ার এ কৃতি সন্তানকে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয়।
ঘরের মাঠ, চেনা গ্যালারি আর শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত সেই বগুড়ার শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়ামে আবেগঘন পরিবেশে সংবর্ধিত হলেন তিনি।
দুপুর ১২টায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্রেস্ট ও ফুলের শুভেচ্ছা তুলে দেন বর্তমান জাতীয় দলের তারকা ও বগুড়ার আরেক সন্তান তৌহিদ হৃদয়। আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলের উদীয়মান ক্রিকেটার ও ক্রীড়া সংগঠকেরা।
সংবর্ধনার মুশফিকুর রহিম জানান তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা। তিনি বলেন, আমার স্বপ্ন বগুড়ায় একটি মানসম্মত ক্রিকেট একাডেমি গড়ার। উত্তরবঙ্গে অনেক প্রতিভা আছে, কিন্তু সুযোগ-সুবিধার অভাবে তারা ঝরে পড়ে। আমি এমন এক একাডেমি করতে চাই যেখানে তরুণরা বারো মাস প্র্যাকটিস করতে পারবে। এটি কোনো ধরাছোঁয়ার বাইরের স্টেডিয়াম হবে না, সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
নিজের ফেলে আসা দিনের কথা স্মরণ করে তিনি তরুণদের উদ্দেশে বলেন, আমিও একসময় তোমাদের মতো ছোট ছিলাম। পরিবার আর আল্লাহর রহমতে আজ এ পর্যায়ে আসতে পেরেছি। সময়ের নিয়মে আমরা একদিন বিদায় নেব, কিন্তু হৃদয়-তামিমদের মতো নতুনরা সেই হাল ধরবে।
অনুষ্ঠানে তৌহিদ হৃদয় তার মুগ্ধতা প্রকাশ করে বলেন, মুশফিক ভাইয়ের খেলা দেখেই বড় হয়েছি। তিনি আমার আদর্শ। ২০০৭-০৮ সালের সেই স্মৃতিগুলো আজও চোখে ভাসে। এমন একজন কিংবদন্তির পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারাটা আমার জন্য সৌভাগ্যের।
বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার জামিলুর রহমান জামিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন উপস্থিত অনেক খুদে ক্রিকেটার। বগুড়াবাসীর দীর্ঘদিনের আক্ষেপ— মুশফিক যেন ক্যারিয়ার শেষ করার আগে অন্তত একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ নিজের ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ পান।
অনুষ্ঠান শেষে মুশফিকুর রহিম মাঠে উপস্থিত তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে সময় কাটান এবং তাদের উৎসাহিত করেন।
মন্তব্য করুন