শেষ পর্যন্ত জমে উঠল সিরিজ। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দারুণ কৌশলী পারফরম্যান্সে শ্রীলঙ্কাকে ১৬ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল বাংলাদেশ। এখন সব নির্ধারণ হবে মঙ্গলবারের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে।
টসে জিতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ তুলেছিল ২৪৮ রান। উইকেট মন্থর হলেও চ্যালেঞ্জিং ছিল স্কোরটা। আর সেটা সম্ভব হয়েছে ওপেনার পারভেজ ইমন (৬৭) ও তৌহিদ হৃদয় (৫১)–এর ধৈর্যশীল ইনিংস, আর সবচেয়ে চমকে দিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব—মাত্র ২১ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে দলকে ঠেলে দিয়েছেন ২৪০ পেরোনো পারের দিকে।
বল হাতে শুরুতেই বাজিমাত করেন সেই তানজিমই—পাথুম নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে দেন দ্বিতীয় ওভারেই। কিন্তু এরপর হঠাৎ ঝড় তুলেছিলেন কুশল মেন্ডিস, মাত্র ২০ বলেই তুলে নেন অর্ধশতক! মনে হচ্ছিল, লঙ্কানরা হেসেখেলে পার করে দেবে লক্ষ্যটা।
কিন্তু নাটক তখনও বাকি! স্পিন আক্রমণে জ্বলে ওঠেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। মাঝের ওভারগুলোতে যেন মায়াজাল বিছিয়ে দিলেন তিনি—কামিন্ডু, কুশল, ওয়েলালাগে, থিক্ষানাকে ফিরিয়ে ১০ ওভারে ৫ উইকেট তুলে নেন এই তরুণ স্পিনার। শ্রীলঙ্কা তখন ১৫৬/৭।
তবু আশা ছাড়েনি লঙ্কানরা। জানিথ লিয়ানাগে যেন একাই লড়াই চালিয়ে যান, ৭৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে প্রায় জিতিয়েই দিচ্ছিলেন। চামিরাকেও পাশে পেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২১ রান দরকার থাকতে গিয়ে বড় ভুল করে বসেন লিয়ানাগে—ফিজের শিকার হন।
শেষ ওভারের আগেই ম্যাচ প্রায় শেষ—তানজিম চামিরাকে বোল্ড করে ম্যাচে সিল মেরে দেন। শ্রীলঙ্কা অলআউট ২৩২ রানেই।
তানভীর ইসলাম পেলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার—পুরোপুরি প্রাপ্য। ৫ উইকেট, ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া স্পেল। তবে এই জয়ে ব্যাটে-বলে অনেকেই রেখেছেন মূল্যবান অবদান।
সিরিজ এখন ১-১। মঙ্গলবারের তৃতীয় ওয়ানডেতে হবে সবকিছুর নিষ্পত্তি। কলম্বোয় আরও এক উত্তেজনার ম্যাচ অপেক্ষা করছে।
মন্তব্য করুন