বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রশিদ খানের একটি ছবি ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায় নাগিনের মতো পোজ নিয়ে আছেন আফগান লেগ স্পিনার। নেটিজেনরা বলেন, এই পোজে মূলত বাংলাদেশকে হুংকার দিচ্ছেন তিনি।
রশিদ-মুজিবদের উড়িয়ে দিয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত করে সাকিবের দল। এ ম্যাচে মূলত অকার্যকর ছিল রশিদের লেগস্পিন। এবার নেটিজেনরা বলছে, সাপুড়ে টাইগারদের বিনে কুপকাত নাগিন রশিদ। ক্রিকেটে নাগিন ড্যান্সের প্রবতর্ক বাংলাদেশের নাজমুল হোসেন অপু। সর্বপ্রথম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএলে, উইকেট পাওয়ার পর বাঁহাতি এই স্পিনারকে এভাবে উৎসব করতে দেখা যায়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি জনপ্রিয় হয় বাংলাদেশ, ভারতকে নিয়ে শ্রীলংকায় আয়োজিত নিদ্রাহাস ট্রফিতে। সে সময় বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত-শ্রীলংকার ক্রিকেটাররা তো বটেই গ্যালারিতে দর্শকদের নাগিন ড্যান্স করতে দেখা যায়। এমনকি কমেন্ট্রিবক্সে নাগিন ড্যান্স করেন ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কারও। এবার সেই নাগিন ড্যান্স করে আবারও সামনে নিয়ে এলেন আফগানিস্তানের রশিদ খান।
গত শুক্রবার নিজেদের এশিয়া কাপের জার্সি উন্মোচন ও ফটোসেশনে অংশ নেন আফগান ক্রিকেটাররা। সেখানে আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খানকে দেখা যায় নাগিনরূপে। তখন প্রশ্ন আসে তবে কি এই লেগ-স্পিনার বাংলাদেশকে নাগিন নাচে কাবু করার কথাই স্মরণ করিয়ে দিলেন?
ক্রিকেটপ্রেমীরা কমেন্টবক্সে লিখছেন, এটা তো বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার লড়াইয়ের ট্রেডমার্ক। তাহলে কি রশিদও লেগ স্পিনে সাকিবদের ছোবল দেওয়ার অগ্রিম হুমকি দিয়ে রাখলেন? কিংবা লঙ্কানদের কাছে হারের ক্ষত মনে করিয়ে খোঁচা দিয়ে বসলেন রশিদ!
কিন্তু ম্যাচে পুরোপুরি উল্টো চিত্র। বাংলাদেশের বিপক্ষে একেবারে সাদামাটা ছিলেন রশিদ খান। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে কখনোই ১০ ওভারে ৫৫ রান দেননি রশিদ। তিনি এ ম্যাচে দেন ৬৬ রান। থাকেন উইকেটশূন্য।
আরেক স্পিনার মুজিব উর রেহমানও ছিলেন নিষ্প্রভ। ডানহাতি এই স্পিনার এর আগে কখনোই ১০ ওভারে ৫০ রান দেননি। অথচ এ ম্যাচে ১০ ওভারে দেন ৬২ রান। ব্যাটিং অবশ্য ঝড় তোলার চেষ্টা করেন রশিদ খান। কিন্তু তাকে বেশি দূর এগুতে দেননি তাসকিন আহমেদ। এমন নিরবিষ পারফরম্যান্সের পর অনেকে বলছেন, সাপুড়ে টাইগারদের বিনে কুপকাত নাগিন রশিদ।
মন্তব্য করুন