চলমান নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ঘটল এক বিতর্ক। পাকিস্তানের ইনিংসের চতুর্থ ওভারে রান আউট হন দলটির ব্যাটার মুনিবা আলি। কিন্তু তিনি মাঠ ছাড়তে চাননি। ড্রেসিংরুম থেকে বাইরে বেরিয়ে চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়ান পাকিস্তানের অধিনায়ক ফাতিমা সানা। যদিও শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে হয় মুনিবাকে।
চতুর্থ ওভারে বল করছিলেন ভারতের ক্রান্তি গৌড়। তার সেই বল মুনিবার প্যাডে লাগে। এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। তাতে অবশ্য সাড়া দেননি আম্পায়ার। ভারত রিভিউ নেয়নি, রিভিউ নিলে অবশ্য আউট হতেন পাক ব্যাটার। কিন্তু সেখানেই ঘটনা থেমে থাকেনি। পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ছিলেন দীপ্তি শর্মা। তিনি বল ধরে উইকেটে ছোড়েন। মাঠের আম্পায়ার জানিয়ে দেন, মুনিবা ক্রিজ়ে ছিলেন।
মাঠের আম্পায়ারকে থামিয়ে দেন তৃতীয় আম্পায়ার কেরিন ক্লাস্তে। তিনি রিপ্লে দেখেন। যেখানে দেখা যায়, মুনিবার ব্যাট ক্রিজের ভেতরে থাকলেও ঠিক যে মুহূর্তে দীপ্তির থ্রো উইকেটে লেগেছে, ঠিক সেই মুহূর্তেই মুনিবার ব্যাট মাটি থেকে উপরে ছিল। অর্থাৎ রান আউট হয়েছেন তিনি। তৃতীয় আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত জানান।
তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের পরেও মাঠে দাঁড়িয়েছিলেন মুনিবা। তার দাবি, বল ডেড হয়ে গিয়েছে। তার পর কীভাবে আউট হবেন তিনি? ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে এসে ডাগ আউটের কাছে দাঁড়িয়ে তৃতীয় আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়ান পাক অধিনায়ক। তিনিও বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন যে, বল ডেড হয়ে গেছে। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। ফিরতে হয় মুনিবাকে।
এশিয়া কাপের ফাইনালেও এরকম একটা ঘটনা ঘটেছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে। দু’রান নেওয়ার পর ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন পাকিস্তানের নাওয়াজ। মিড অন থেকে সরাসরি থ্রোয়ে উইকেট ভেঙে দেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। সেই সময় ক্রিজের বাইরে ছিলেন পাক ব্যাটার। রান আউট হয়ে ফেরেন তিনি। সেই আউটের পর অবশ্য পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা কোনও প্রতিবাদ করেননি।
মন্তব্য করুন