নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে সিলেটে স্পোর্টিং উইকেটে খেলেছে দুই দল। তবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ঢাকায় প্রথম দিন থেকেই ছিল স্পিনারদের দাপট। এই দাপট আরও স্পষ্ট হয়েছে চতুর্থ দিনে এসে। বাংলাদেশের ব্যাটারদের ওপর রীতিমতো ছড়ি ঘুরিয়েছেন দুই কিউই স্পিনার এজাজ প্যাটেল এবং মিচেল স্যান্টনার। মিরপুরের পিচ, দুই কিউই স্পিনারের দক্ষতা আর সেইসঙ্গে বাংলাদেশি ব্যাটারদের ক্রমাগত ভুলে ভরা শট, সব মিলিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বলতে গেলে ব্যাটিং ভরাডুবি বাংলাদেশের।
চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ নিজেদের প্রত্যাশিত রানটা পেয়ে গিয়েছে এমন বলা চলে না। সবকটি উইকেট হারিয়ে করেছে ১৪৪ রান। ঢাকা টেস্ট জিততে কিউইদের লক্ষ্য ১৩৭। পিচের অবস্থা আর টাইগার স্পিনারদের সুবাদে এতে খানিক আশা নিশ্চিতভাবেই দেখতে চাইবেন টাইগার ভক্তরা। অবশ্য এরপরেও কিছুটা আক্ষেপ থাকা মোটেই অস্বাভাবিক না।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) চতুর্থ দিনের শুরুতেই স্পিন দিয়ে শুরু করে কিউইরা। প্রথমে অবশ্য কোনো ঝামেলা ছাড়াই দলীয় সংগ্রহ ৫০ পার হয় বাংলাদেশের তবে তার পর থেকেই কিউই ঘূর্ণিতে আটকানো শুরু হয় টাইগার ব্যাটারদের।
আগের দিনের ৩৮ রানের সঙ্গে ৩৩ রান যোগ করতেই বাংলাদেশ হারায় দিনের প্রথম উইকেট। এরপর আর ১১ রান যোগ করতেই স্কোরবোর্ডে নেই আরও এক উইকেট। আসা-যাওয়ার মিছিলে শাহাদাত দিপু ও মেহেদী হাসান মিরাজের সাথে নুরুলও যোগ দেওয়ায় রীতিমতো বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। লিড এখনও ১০০ পার হয়নি।
দিনের শুরুতে মুমিনুল দুটো চার মেরে ভালো কিছুর আভাস দিলেও শেষ পর্যন্ত সেটা ধরে রাখতে পারেননি তিনি। ১০ রান করেই এজাজ প্যাটেলের বলে লেগবিফরের শিকার হয়ে ফিরতে হয়েছে ড্রেসিংরুমে। মুশফিকুর রহিম এসে টিকতে পেরেছেন ১২ বল। ৯ রান করেই শেষ হয়েছে তার ইনিংস। মিচেল স্যান্টনারের দিনের প্রথম শিকার এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। স্লিপে ক্যাচটা নিয়েছেন ড্যারেল মিচেল।
পরে শাহাদাত দিপু এসে টিকে ছিলেন ১৩ বল। তিনিও শিকার স্যান্টনারের। মেহেদী হাসান মিরাজের যেখানে দায়িত্ব নিয়ে খেলার কথা তিনিও এজাজ পাটেলের বাইরে বের হওয়া বল বোকার মতো খেলতে যেয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। একই ওভারে নুরুলও আউট হয়ে বাংলাদেশকে বিশাল চাপে ফেলে এসেছেন।
আর আসা-যাওয়ার এই পুরো মিছিল অপরপাশ থেকে ধৈর্য নিয়ে দেখেছেন ওপেনার জাকির হাসান। এমন সময়েও মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন অনেকটা সময়। করেছেন ফিফটিও। এরপরেই বড় শট খেলতে চেয়েছেন। তবে সেটা খুব বেশি কাজে দেয়নি। ৮৬ বলে ৫৯ রান করে শেষ হয় তার কার্যকরী ইনিংসটি।
মাঝে ১৯ বলে ৯ রান করা নাইম বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে লিড ১০০ পার করতে। আর তাইজুল-শরীফুলরা সেটাকে টেনে নিয়েছেন ১৩৬ পর্যন্ত। দলীয় ১৪৪ রানে শরীফুল আউট হলে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোরার ৫৯ করা জাকির। আর কিউইদের মধ্যে বল হাতে এজাজ প্যাটেল একাই নিয়েছেন ৬ উইকেট। ৩ উইকেট গিয়েছে স্যান্টনারের ভাগ্যে। আর একটি উইকেট পেয়েছেন টিম সাউদি।
মন্তব্য করুন