

মিরপুর টেস্টে দিনের শেষে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে ফিফটি–ফিফটির ফুলঝুরি। কিন্তু সেই সব ইনিংসই যেন অসম্পূর্ণ গল্প—একটু এগোলেই সেঞ্চুরির দোরগোড়ায়, কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তেই ভেঙে পড়া। বাংলাদেশের ব্যাটারদের এই ‘৭০–৮০’-তে থেমে যাওয়ার পুরোনো রোগ আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। আর তাই খেলাঘরে নয়, দলীয় ড্রেসিং রুমেই আজ ভর করেছে হতাশার সুর।
হাতে থাকা সুযোগগুলো কাজে লাগাতে না পারায় খারাপ লাগছে—এমনটাই জানালেন ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল। দিনশেষের সংবাদ সম্মেলনে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, সমালোচনার চেয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ধরে রাখতেই চাইছেন দল। তবে খেলোয়াড়দের মনেই নাকি সবচেয়ে বেশি খচখচানি কাজ করছে।
শ্রীধরন শ্রীরামের কথাটা আবারও সত্যি হলো। আগে বলেছিলেন—ফিফটি পেলেই বাংলাদেশের ব্যাটারদের ক্ষুধা কমে যায়। এবারও চারটি ফিফটি হলেও হতাশা ছাড়া কিছুই দিতে পারেননি কেউ।
ব্যাটারদের আউট হওয়ার ধরন নিয়ে আশরাফুল বলেন, ‘উইকেট ছুঁড়ে আসার মতো কিছু না। শেষ দুটো টেস্টে তিনটা ইনিংসে আমাদের উইকেট ভালো বলেই গেছে।’
অর্থাৎ আত্মঘাতী ভুল নয়—কঠিন ডেলিভারিতেই ধরা পড়েছেন জয়, মুমিনুলরা। তাই ব্যাটিং কোচের মতে, অভিযোগ তোলার সময় এটা নয়:
‘ভালো বলে যখন আউট হয়, তখন অভিযোগ না করে পজিটিভ কথাই বলা ভালো।’
তবু এই ‘বড় কিছু করতে না পারা’র কষ্টটা নাকি ক্রিকেটারদের নিজেদেরই বেশি পোড়ায়। আশরাফুলের ভাষায়, ‘আমাদের চেয়ে ওদেরই মন বেশি খারাপ। তারা যদি ১০০-২০০ করতো—তাদেরই তো রান বাড়ত।’
এখন লক্ষ্য সামনে তাকানো। ব্যাটিং কোচর আশায়, এই ফিফটিগুলোই হয়ে উঠবে আগামীর বড় ইনিংসের ইশারা—‘ইনশাআল্লাহ, সামনে বড় বড় ইনিংস আসবে।’
মিরপুরের উইকেটে ব্যাটারদের জয়–মুমিনুলরা যে বারবার ‘দরজায় গিয়ে ফিরছেন’, সেই গল্প এবার বদলাতে পারে কি না—এটাই এখন দলের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা।
মন্তব্য করুন