দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং ব্যর্থতায় আবারও ধস নামল বাংলাদেশের ইনিংসে। শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিক দল। পুরো ইনিংসে কেবল জাকের আলী ও মেহেদী হাসানই প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে তারাও গতিতে রান তুলতে না পারা আর বাকিরা ব্যর্থ হওয়ায় দলীয় সংগ্রহ থেমে যায় মাত্র ১৩৩ রানে।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে একেবারেই স্বস্তির শুরু হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম, যার ল্যাপ স্কুপের ব্যর্থ চেষ্টায় গ্লাভস ছুঁয়ে বল চলে যায় পাকিস্তানি কিপারের হাতে। এরপর একে একে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক লিটন দাস, হৃদয় ও ইমন—পাওয়ার প্লেতেই নেই ৪ উইকেট।
প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের মতোই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। শুরুতে ২৮ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে বিপর্যয় থেকে কিছুটা তুলে আনেন মেহেদী হাসান ও জাকের আলী। পঞ্চম উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়েন এই দুজন, যার মধ্যে মেহেদীর ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস। অন্যদিকে জাকের আলী খেলেন ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস—৪৮ বলে ৫৫ রান, যেখানে ছিল একটি চার ও পাঁচটি দৃষ্টিনন্দন ছয়।
তবে শেষদিকে আবারও ছন্দপতন। ১৭তম ওভারের পর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ, ফলে বড় সংগ্রহ গড়ার আশাও ফিকে হয়ে যায়। ২০ ওভার শেষে অলআউট হয়ে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় মাত্র ১৩৩ রান।
পাকিস্তানি বোলাররা এদিন কৌশলগতভাবে আগের ম্যাচের চেয়ে ধীর গতির বল ব্যবহার করেন এবং সফলও হন। ডানহাতি পেসার সালমান মিরজা ছিলেন সবচেয়ে কিপটে—৪ ওভারে ২ উইকেট নিয়ে দেন মাত্র ১৭ রান। অভিষিক্ত আহমেদ দানিয়াল ও আব্বাস আফ্রিদিও তুলে নেন ২টি করে উইকেট।
প্রথম ইনিংস শেষে ম্যাচের ভবিষ্যদ্বাণী বলছে—বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা মাত্র ২৬.৬৪ শতাংশ, বাকি ৭৩.৩৬ শতাংশ পাকিস্তানের দিকে। তবে বল হাতে জবাব দেওয়ার সুযোগ এখন টাইগারদের, যারা সিরিজে ১-০-তে এগিয়ে রয়েছে। এখন দেখার পালা—এই মাঝারি পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশ বোলাররা পারেন কি না সিরিজ জয়ের উৎসবে মাততে!
মন্তব্য করুন