গত জুলাই মাসে বাসায় ভয়াবহ ডাকাতির সমুক্ষীণ হয়েছিলেন পিএসজির ইতালিয়ান গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। এবার তারই সতীর্থ জার্মান মিডফিল্ডার জুলিয়ান ড্রাক্সলারের বাসায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সাতজন ডাকাতকে আটক করেছে প্যারিসের সেন্ট ক্লাউড অঞ্চলের পুলিশ। ফরাসি সংবাদমাধ্যম ‘লা পারিসিয়ান’ ও ‘আরএমসি স্পোর্ট’ ডাকাতদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ড্রাক্সলারের বাসার আশপাশে সতর্ক অবস্থানে ছিল প্যারিসের সেন্ট ক্লাউড অঞ্চলের পুলিশ। পিএসজি তারকার পরিবার পুলিশকে জানিয়েছিল, তাদের বাসার আশপাশে দুটি গাড়ি সন্দেহজনকভাবে চলাফেরা করছে। এ ছাড়া আগের দিন একটি ভক্সওয়াগন গলফ গাড়িতে দুজন লোকের সন্দেহজনক চলাফেরার বিষয়টি নজরদারিতে ছিল বলে জানিয়েছে ফরাসি সংবাদমাধ্যম আরএমসি স্পোর্ট।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) মাঝরাতের ড্রাক্সলারের বাড়ির কাছ থেকে একটি গাড়ি থামিয়ে দুজনকে আটক করে পুলিশ। গাড়িটি থেকে দস্তানা, মুখোশ ও প্লাস্টিকের দড়ি উদ্ধার করে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী। আরেকটি গাড়ি দূরে অবস্থান করছিল। সেই গাড়ি থেকে আরও পাঁচজন ডাকাতকে আটকের পাশাপাশি দস্তানা, মুখোশ ও প্লাস্টিকের দড়িও উদ্ধার করে প্যারিসের পুলিশ।
প্যারিসের সেন্ট ক্লাউড অঞ্চলের পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, আটক সাতজনকে দ্রুতই আদালতে হাজির করা হবে। আটক সাতজনের বয়সই ১৭ থেকে ২১ বছরের মধ্যে। গত মৌসুমে পিএসজি থেকে ধারে পর্তুগালের বেনফিকার হয়ে লিগ শিরোপা জিতে আবারও পিএসজিতে ফিরেছেন ড্রাক্সলার। তবে প্যারিসের ক্লাবটিতে ফিরলেও লুইস এনরিকের দলে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছে আরএমসি স্পোর্ট।
প্রেমিকা সেথানি তাইং ও সন্তান নিয়ে প্যারিসের সেন্ট ক্লাউড অঞ্চলে বসবাস করেন ড্রাক্সলার।
ড্রাক্সলারের আগেও পিএসজির আরও কয়েকজন খেলোয়াড় ডাকাতির শিকার হয়েছেন। থিয়াগো সিলভা, আনহেল দ্য মারিয়া, মাউরো ইকার্দি, দানি আলভেস, প্রেসনেল কিম্পেম্বে, এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোটিং, মারকিনিওসদের বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘঠেছিল। গত জুলাই মাসে গোলকিপার দোন্নারুম্মা ও তার বান্ধবীকে বেঁধে রেখে ডাকাতি করেছিল। সেই ঘটনায় বাংলাদেশি প্রায় ছয় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল দোনারুম্মার।
মন্তব্য করুন