এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে শক্তি সঞ্চারে ব্যস্ত বাংলাদেশ ফুটবল দল। সেই লক্ষ্যে প্রবাসী ফুটবলারদের দলে ভেড়ানোর প্রক্রিয়ায় একে একে যোগ দিচ্ছেন বিদেশে বেড়ে ওঠা প্রতিভাবানরা। বুধবার (০৪ জুন) ভোররাতে সর্বশেষ ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন কানাডা প্রবাসী মিডফিল্ডার সামিত সোম।
মাত্র এক মাস আগেই, ৬ মে ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির কাছ থেকে জাতীয় দলের হয়ে খেলার অনুমোদন পেয়েছেন সামিত। এরপর থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়ানোর। অবশেষে সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সামিত এখন ঢাকায়, তবে আজ (বুধবার) ভুটানের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচে বিশ্রামে থাকার সম্ভাবনাই বেশি তার।
ঢাকা পৌঁছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সামিত বলেন, ‘আমি দারুণ রোমাঞ্চিত। সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করার জন্য অধীর হয়ে আছি। কোচের সঙ্গে আমার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এখন দলের সঙ্গে একত্রে কাজ করার অপেক্ষায় আছি। আমি বিশ্বাস করি আমাদের দলে ভালো কিছু করার সামর্থ্য আছে।’
বাংলাদেশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা ঘোষিত স্কোয়াডে ছয়জন প্রবাসী ফুটবলার রয়েছেন—হামজা চৌধুরি (ইংল্যান্ড), জামাল ভূঁইয়া (ডেনমার্ক), কাজেম শাহ (কানাডা), ফাহমিদুল ইসলাম (ইতালি), তারিক কাজী (ফিনল্যান্ড) এবং সদ্য আসা সামিত সোম (কানাডা)। এর মধ্যে জামাল, তারিক এবং কাজেম আগেই দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। ভারত ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয়েছে হামজারও। নতুন করে স্কোয়াডে যুক্ত হয়েছেন ফাহমিদুল ও সামিত।
প্রবাসীদের ক্রমাগত আগমনকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন দলের অভিজ্ঞ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। গতকাল তিনি বলেন, ‘আমি ভাবতাম তারিক আসার পর আর কেউ আসবে না। কিন্তু এখন দেখি আস্তে আস্তে সংখ্যা বাড়ছে। এটা দেশের ফুটবলের জন্য ভালোই। উদাহরণ হিসেবে ফ্রান্সকে দেখুন—তাদের অনেক খেলোয়াড়ই বাইরের। তবুও তারা বিশ্বকাপ জিতেছে।’
আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তার আগে ভুটান ম্যাচে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি নতুনদের মাঠে নামিয়ে দেখতে চান কোচ ক্যাবরেরা। সামিতের মতো নতুনদের আগমন জাতীয় দলের প্রতিযোগিতামূলক মান বাড়ানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্যও বড় ভিত্তি তৈরি করবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সামিত সোমের আগমন শুধু নতুন এক মিডফিল্ড অপশনই নয়, বরং এক প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যতের বার্তাও বয়ে আনছে। বিদেশে বেড়ে ওঠা ফুটবলারদের অভিজ্ঞতা ও পেশাদারিত্ব যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তবে আগামী দিনে বাংলাদেশের ফুটবল মানচিত্রে বড় কিছু করে দেখাতে পারে।
মন্তব্য করুন