বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার দুই ম্যাচের ফুটবল সিরিজটি অমীমাংশিতভাবে শেষ হয়েছে। প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ড্রয়ের পর দ্বিতীয় ও শেষ খেলাতেও ১-১ সমতায় করেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও তরুণ স্ট্রাইকার শেখ মোরসালিনের গোলে সমতায় ফেরে জামাল ভূঁইয়ার দল।
কিংস অ্যারেনায় বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথমোর্ধে ফুটবল থেকে শারীরিক শক্তি প্রদর্শনে বেশি মনোযোগী ছিল দুদলের ফুটবলাররা। ১৮ মিনিটে একটা ফাউলকে কেন্দ্র করে ডাগআউটে ঝামেলা শুরু করে দুদলের স্টাফরা। এ ঘটনায় বাংলাদেশের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন ও আফগান কোচ আব্দুল্লাহ আল মুতাইরিকে লাল কার্ড দেখান নেপালিজ রেফারি।
আফগানদের দুটি শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশ গোলকিপার জিকো। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে আফগান গোলপোস্টে জোড়ালো শট নেন রাকিব। সফরকারী গোলকিপার দক্ষতার সঙ্গে প্রতিহত করেন। ৪৫ মিনিটের গোলের সহজ সুযোগ মিস করে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে বল পেয়েও গোল করতে পারেনি।
বিরতি থেকে ফিরে এসে বারবার আক্রমণে উঠে আসে বাংলাদেশ। ভেজা মাঠে খেই হারিয়ে বসে আফগান ফুটবলাররা। অন্যদিকে ভেজা মাঠে একের পর এক আক্রমণে আফগানিস্তানের ডিফেন্স লাইনকে ব্যস্ত করে তোলে মোরসালিন-রাকিবরা। কিন্তু ম্যাচে ৫২তম মিনিটে কর্নার কিক থেকে গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ।
গোল হজমের পর সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে আক্রমণ শানায় বাংলাদেশ। তবে গোল আদায় করতে বেশিক্ষন সময় নেয়নি কাবরেরা শিষ্যরা। ম্যাচের ৬১ মিনিটে গোল করে সমতায় ফেরান তরুণ টাইগার ফরোয়ার্ড মোরসালিন। হলুদ কার্ডের ম্যাচে ৭১ মিনিটের হলুদ কার্ড দেখেন আফগান অধিনায়ক। পুরো ম্যাচে নেপালের রেফারি প্রাঞ্জল ছেত্রী দুদলের খেলায়াড়দের ৭টি হলুদ কার্ড দেখান। এছাড়াও বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের কোচিং স্টাফকে ২টি লাল কার্ড প্রর্দশন করেন।
মন্তব্য করুন