কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যেভাবে তৈরি হয়েছিল মুসলমানদের প্রথম কিবলা ‘আল-আকসা’

জেরুজালেমে অবস্থিত মুসলমানদের প্রথম কিবলা পবিত্র আল-আকসা। ছবি : সংগৃহীত
জেরুজালেমে অবস্থিত মুসলমানদের প্রথম কিবলা পবিত্র আল-আকসা। ছবি : সংগৃহীত

মসজিদে আকসা ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থাপনা। যাকে মসজিদুল আকসা, আল-কুদস, আল-আকসা মসজিদ বা বায়তুল মুকাদ্দাস বলা হয়ে থাকে। মুসলমানদের প্রথম কিবলা এই মসজিদ। আল-আকসায় ওজু করে এখান থেকেই মিরাজে গিয়েছিলেন শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম। ইসলামে তাই মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর পরই আল-আকসার অবস্থান।

ঐতিহাসিক এই মসজিদ জেরুজালেমে অবস্থিত। এতে ২টি বড় এবং ১০টি ছোট গম্বুজ রয়েছে। আল আকসা নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায়ে স্বর্ণ, সিসা ও মার্বেল পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। এর আয়তন সাড়ে তিন হাজার বর্গমিটার। মসজিদটি ৩৫ একর জমির ওপর নির্মিত। এর নির্মাণশৈলী মুসলিম ঐতিহ্যের রাজসাক্ষী।

যতদূর জানা যায়, ফেরেশতাদের মাধ্যমে অথবা প্রথম মানব ও নবী হজরত আদম আলাইয়ে ওয়া সাল্লামের কোন সন্তানের মাধ্যমে আল-আকসা সর্বপ্রথম নির্মিত হয়। হাদিস থেকে জানা যায়, এটি কাবা শরীফ নির্মাণের চল্লিশ বছর পর নির্মিত। হজরত ইয়াকুব আ. কে আল্লাহতাআলা নির্দেশ দিলে তিনি তা পুননির্মাণ করেন। তার প্রায় হাজার বছর পর হজরত দাউদ আ. এর পুনর্নির্মাণ শুরু করেন। যদিও তিনি তা শেষ করতে পারেননি। তার ছেলে হজরত সুলাইমান আ.-এর হাতে বায়তুল মুকাদ্দাসের সংস্কার শেষ হয়।

পবিত্র কোরআনের ভাষ্য অনুযায়ী, মানুষের পাশাপাশি জিনরাও হযরত সুলাইমান আ. এর অনুগত ছিলেন। তাদের মধ্যে অনেক দুষ্ট জিনও বেড়িবদ্ধ অবস্থায় নির্দেশ মেনে চলত। তাদের মাধ্যমে আল-আকসা পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়।

নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ারে আগেই হজরত সুলাইমান (আ.)-এর মৃত্যুর সময় চলে আসে। আল্লাহর নির্দেশে হজরত সুলাইমান (আ.) কাচের মেহরাবে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হন। লাঠিতে ভর করে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মসজিদুল আকসা নির্মাণ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত নবীর দেহ পচেনি, পড়েও যায়নি। দুষ্ট জিনেরা ভয়ে কাছেও যায়নি। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, ‘যখন আমি সুলাইমানের মৃত্যু ঘটালাম, তখন ঘুনপোকাই জিনদেরকে তার মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত করল। হযরত সুলাইমানের লাঠি খেয়ে যাচ্ছিল। অতঃপর যখন তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন, তখন জিনেরা বুঝতে পারল যে, যদি তারা অদৃশ্য বিষয় জানতো, তাহলে তারা এই হাড়ভাঙ্গা খাটুনির আজাবের মধ্যে আবদ্ধ থাকত না।

এভাবেই আল্লাহর আদেশে জিনদের মাধ্যমে নির্মিত হয় আল-আকসা মসজিদ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সৌদিপ্রবাসী মনিরের বাসার তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল আটক

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

শাহজালাল বিমানবন্দরে অতিরিক্ত নিরাপত্তায় ৬ নির্দেশনা

খালসহ ১০টি জলমহাল উন্মুক্ত করলেন খুলনার জেলা প্রশাসক

৩০ আগস্ট ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন

জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন

বছর ঘুরে ফিরল সেই জুলাই 

৩৬ জুলাই বিপ্লব ও নির্মম নির্যাতনের মধ্যেও বেঁচে ফেরার গল্প

৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ / এস আলম পরিবারের তিন সদস্যসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলা

খুবির দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনকে কটাক্ষের অভিযোগ

১০

রাজশাহীতে ঐতিহাসিক ‘সান্তাল হুল’ দিবস উদযাপন

১১

২৯৫ জন অস্থায়ী কর্মীকে স্থায়ী করল চসিক

১২

যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেন ইউনূস-রুবিও

১৩

করোনার ‘ভুল রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণা’, অতঃপর...

১৪

ইরানে একাধিক ইউরোপীয় নাগরিক গ্রেপ্তার

১৫

ঢাবি শিক্ষার্থী সৌমিকের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

১৬

ছাত্রদল কর্মীর নেতৃত্বে হাবিপ্রবিসাসের অফিসরুম ভাঙচুর

১৭

গাজাবাসীর জন্য বিশেষ ভিসা চালু করতে স্টারমারকে ব্রিটিশ এমপিদের চিঠি

১৮

পাবিপ্রবিতে শিক্ষাবৃত্তি ও গবেষণা প্রণোদনা প্রদান

১৯

ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নারীদের অবদান নিয়ে বিএনপির কমিটি

২০
X