কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৭ পিএম
আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে থাইল্যান্ডকে আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেইতংটারন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে বৈঠকে ড. ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেইতংটারন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে বৈঠকে ড. ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শুক্রবার (০৪ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেইতংটারন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। এ সময় তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এ দেশটিতে ভ্রমণকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান জানান।

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক সামিটের পাশাপাশি থাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান বিষয়টি উত্থাপন করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ঢাকায় থাই দূতাবাসের বেশি ভিসা প্রক্রিয়া করার ক্ষমতা নেই। ফলে থাইল্যান্ডে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশিদের দীর্ঘ বিলম্ব এবং ভিসার জন্য জটের মুখে পড়তে হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশি যারা থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নিতে চান তারা ভিসা সমস্যার সম্মুখীন হন। এ বিষয়ে থাই প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন কামনা করেন। থাই প্রধানমন্ত্রী পেইতংটারন সিনাওয়াত্রা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, শিপিং এবং সমুদ্র সম্পর্ক সম্প্রসারিত এবং বিমান যোগাযোগের আহ্বান জানান।

ড. ইউনূস বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট চালু হলে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড ভ্রমণের সময় কমতে পারে। তিনি এক দশক আগে চট্টগ্রাম এবং থাই রিসোর্ট শহর চিয়াং মাই-এর মধ্যে একটি ফ্লাইট চালু করার সময় এয়ার এশিয়া দ্বারা সৃষ্ট প্রভাব স্মরণ করেন।

থাই প্রধানমন্ত্রী বিমসটেকের সভাপতিত্ব করায় অধ্যাপক ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আঞ্চলিক গ্রুপিংয়ে ড. ইউনূস নতুন গতিশীলতা সৃষ্টি করবেন।

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের দীর্ঘদিনের এবং চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতিফলন ঘটিয়ে বৈঠক শুরু করেন। এ সময় তিনি ১৯৭২ সালে থাইল্যান্ডের স্বাধীন বাংলাদেশের প্রারম্ভিক স্বীকৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী প্রয়াত রাজা ভূমিবলের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া থাই কোম্পানিগুলোকে ঢাকায় আগামী সপ্তাহের বিনিয়োগ সামিটে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান তিনি।

ড. ইউনূস দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি সহজতর করার জন্য দুই দেশের মধ্যে রেল, সড়ক, সমুদ্র এবং বিমান সংযোগ উন্নয়নের গুরুত্বও তুলে ধরেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শর্ত সাপেক্ষে বাংলাদেশ থাইল্যান্ড, ভারত ও মিয়ানমারের ত্রিপাক্ষিক সড়ক প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে চায়।

এছাড়া উভয় দেশ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) জন্য একটি যৌথ সম্ভাব্যতা যাচাই শুরুর প্রস্তাব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আকিজ গ্রুপে চাকরি, পাবেন গ্র্যাচুইটিও

ট্রাফিক জরিমানার নামে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে প্রতারণা, ডিএমপির সতর্কতা

আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটালেন নদীপাড়ের মানুষ

টিভিতে আজকের যত যত খেলা

সোমবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, ডিমলার বন্যা রক্ষা বাঁধ ঝুঁকিতে

৬ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

তিস্তার পানির তোড়ে ভেঙে যেতে পারে ফ্লাইড বাইপাস সড়কটি

বজ্রপাতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু

দুই বাংলাদেশি যুবককে ফেরত দিল বিএসএফ

১০

বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী জনগণের পাশে রয়েছে : নীরব

১১

শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা আজ

১২

ছক্কার ঝড় তুলে ম্যাচসেরা সাইফের মুখে আত্মবিশ্বাসের কথা

১৩

আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করে তৃপ্ত জাকের

১৪

আবারও ভারতের কাছে কুপোকাত পাকিস্তান

১৫

সাবেক যুবদল নেতার উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার 

১৬

আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা

১৭

কাশিয়ানীতে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

১৮

দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চান মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বস্তিবাসী

১৯

নির্বাচনের জন্য দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি : লায়ন ফারুক 

২০
X